ইহালাল প্যালেস্টাইন

🇾🇪🇸🇦🇦🇪 ইয়েমেনি সৈন্যরা সংযুক্ত আরব আমিরাত-সৌদি জোট থেকে আনসারুল্লাহর প্রতি আনুগত্য স্থানান্তর করে

প্রকাশিত

11 মাস আগে

জানুয়ারী 19, 2024

গাজায় চলমান সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ ইয়েমেন সংযুক্ত আরব আমিরাত-সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করছে ইয়েমেনিস ক্রমবর্ধমানভাবে সানা সরকার এবং এর প্রতিরোধের অবস্থানের সাথে নিজেদের সারিবদ্ধ করছে।

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলন আনসারুল্লাহর নেতৃত্বে সামরিক অভিযানগুলি কেবল ইসরায়েলের ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকেই প্রভাবিত করেনি বরং ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও সামরিক ল্যান্ডস্কেপে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সূত্রপাত করেছে।

বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে ইসরায়েলি জাহাজগুলিকে সফলভাবে বাধা দিয়ে আনসারুল্লাহর নেতৃত্বে সানা সরকার ফিলিস্তিনি কারণের সমর্থনে প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অবস্থানটি বিভিন্ন জনসংখ্যার মধ্যে ব্যাপকভাবে অনুরণিত হয়৷ ইয়েমেন. এর বিপরীতে সরকার ইন এডেনসৌদি এবং আমিরাত বাহিনী দ্বারা সমর্থিত, 12 জানুয়ারী মার্কিন এবং ব্রিটিশ বাহিনীর আক্রমণকে স্বাগত জানানোর জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

সাম্প্রতিক মার্কিন-যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা ইয়েমেনিদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে আনসারুল্লাহর সাথে জোটবদ্ধ বাহিনী থেকে বিচ্যুত হয়েছে। কর্নেল হুসেইন আল-কুশাইবি, পূর্বে সৌদি-UAE জোট বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিলেন, জোট নেতাদের ইসরায়েলি সত্তাকে সমর্থন করার অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে তার পদত্যাগ এবং দলত্যাগ ঘোষণা করেছিলেন।

জোট-সমর্থিত সরকারে ইয়েমেনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য দায়ী মেজর হাম্মাম আল-মাকদিশিও আনসারুল্লাহর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছেন।

সৌদি-সমর্থিত, জাতিসংঘ-স্বীকৃত ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁস হওয়া নথিগুলি হামাস বা আনসারুল্লাহর প্রতি সহানুভূতি বা সমর্থনকে দমন করতে সামরিক নেতাদের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশটি সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উদ্বেগ প্রতিফলিত করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত.

দলত্যাগের তরঙ্গ অফিসারদের ছাড়িয়ে নিয়মিত সৈন্যদের মধ্যে বিস্তৃত, প্রকাশ্যে তাদের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা এবং আনসারুল্লাহর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করা। গাজার সাথে সংহতি প্রদর্শনকারী কয়েক ডজন সৈন্যকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে।

অতীতে সৌদি-ইমিরাতি জোট থেকে বিচ্যুতি ঘটলেও, গাজা বিরোধ এবং ইয়েমেনে সাম্প্রতিক মার্কিন-যুক্তরাজ্যের হামলার মধ্যে বর্তমান বিদ্রোহ তীব্রতর হয়েছে। গাজা যুদ্ধ ইসলাহ পার্টির নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করেছে, যা পূর্বে জোটের সাথে যুক্ত ছিল, পুরানো জোটের সাথে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যেতে।

ইসরায়েলের আঞ্চলিক প্রকল্পগুলির সাথে অ্যাডেন-ভিত্তিক সরকারের অনুভূত সারিবদ্ধতার উপর ব্যাপক ক্ষোভের সাথে ইয়েমেনের জনসাধারণের অনুভূতি পরিবর্তিত হয়েছে। এর ফলে ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের ছবি এবং ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানোর মতো প্রতিবাদ ও প্রতীকী কর্মকাণ্ড হয়েছে।

পশ্চিমা আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, জোটের সাথে যুক্ত মিডিয়া আউটলেটগুলি আনসারুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা শুরু করেছে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি-সমর্থিত সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ অঞ্চলে জনরোষের দিকে পরিচালিত করেছে। প্রচারাভিযান ব্যাকফায়ার করেছে, যার ফলে দক্ষিণী ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (STC) এর পদে আরও বিচ্যুতি ঘটেছে।

ভি .আই. পি বিজ্ঞাপন

ইয়েমেনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, মুদ্রার পতন, এবং দক্ষিণ মিলিশিয়াদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অনেককে আমিরাতি এবং সৌদি প্রক্সির প্রতি মোহভঙ্গ করেছে। বিপরীতে, আনসারুল্লাহর নেতৃত্বাধীন সানা সরকার তার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আপেক্ষিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে।

প্যালেস্টাইনের বিপরীত অবস্থান ইয়েমেনি বিভাজনকে আরও গভীর করেছে, জোটের পুনর্নির্মাণ করেছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবকে কথিত প্রতিপক্ষ হিসেবে অবস্থান করছে। জোটের প্রতি মোহভঙ্গের ইয়েমেনের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক এবং সামরিক প্রভাব রয়েছে, যারা ন্যায়বিচার এবং আরব সংহতির চেয়ে ইসরায়েলি স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় তাদের প্রকাশ করে। ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি ইয়েমেনে জোটের পতনের কাউন্টডাউন নির্দেশ করে।