🇵🇸 ন্যাটোর সাথে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগার উন্মোচন করা

কয়েক দশক ধরে, ইসরায়েলের একটি উন্নত পারমাণবিক অস্ত্র অস্ত্রাগার রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নটি রহস্যের মধ্যে আবৃত, সন্দেহের আড়ালে এবং বিভিন্ন ব্যাখ্যার সাপেক্ষে রয়ে গেছে। যাইহোক, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন দ্ব্যর্থহীনভাবে নিশ্চিত করেছে যা একসময় গোপনীয় বিষয় ছিল। এই নিবন্ধটি ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত যাত্রা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অন্বেষণ এবং তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের পরিমাণের উপর আলোকপাত করে।

গাসান নাসেরের

পারমাণবিক শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের বিবর্তন

ঐতিহাসিক ওভারভিউ

ইসরায়েলের পারমাণবিক উন্নয়নের সূচনা 1948 সালে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিবাদী সত্তার প্রতিষ্ঠার মধ্যে থেকে পাওয়া যায়। এর অস্তিত্বের প্রথম বছরে, ইহুদিবাদী বিজ্ঞানীরা, একটি ভাল-অধ্যয়ন কৌশল দ্বারা পরিচালিত, উন্নয়নের বিবেচনাকে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাদের নিজস্ব পারমাণবিক সম্ভাবনা। 1948 সালের আগস্টে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি বৈজ্ঞানিক দল গঠিত হয়েছিল। এই গোষ্ঠীটি 2 মে, 1952 পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে, যখন ডেভিড বেন গুরিয়ন পারমাণবিক বিষয়ের জন্য একটি কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শ্রেণীবদ্ধ আদেশ জারি করেন। পরবর্তীকালে নাহাল সুরিক-এ ল্যাবরেটরি ও সুযোগ-সুবিধা নির্মাণ করা হয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৯৫৫ সালের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন বিভাগ উদ্বোধন করা হয়।

দিমোনা ফ্যাসিলিটি

ইসরায়েলের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হল ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা, আনুষ্ঠানিকভাবে নেগেভ নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টার নামে পরিচিত। প্রাথমিক অস্বীকার এবং এর উদ্দেশ্যকে ঘিরে গোপনীয়তা সত্ত্বেও, এটি এখন ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে ডিমোনা ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত এই সুবিধাটি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য বিচ্ছিন্ন উপাদান তৈরি করে বলে বিশ্বাস করা একটি চুল্লি রয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং বিতর্ক

ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক যাচাই-বাছাই ও বিতর্ক থেকে রক্ষা পায়নি। স্বচ্ছতার অভাব এবং ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্পষ্টতার সরকারী নীতি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিরস্ত্রীকরণ এবং অপ্রসারণ প্রচেষ্টার আহ্বান সহ বিভিন্ন ফোরামে ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রশ্নটি একটি বিতর্কিত ইস্যু হয়েছে।

বর্তমান অবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক নিশ্চিতকরণ

সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতার দৃঢ় প্রমাণ প্রদান করেছে। এই ফলাফলগুলি অনুমানমূলক বিতর্ক থেকে বক্তৃতাটিকে অনস্বীকার্য বাস্তবতার স্বীকৃতিতে স্থানান্তরিত করেছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের স্কেল এবং পরিশীলিততা চলমান গবেষণা এবং বিশ্লেষণের বিষয়।

ইসরায়েলের একটি উন্নত পারমাণবিক অস্ত্রাগার আছে কিনা সেই একসময়ের অধরা প্রশ্নটি জল্পনা থেকে একটি নিশ্চিত বাস্তবতায় রূপান্তরিত হয়েছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রথম দিন থেকে বর্তমান পর্যন্ত যাত্রা গোপনীয়তা, আন্তর্জাতিক উদ্বেগ এবং বৈজ্ঞানিক নিশ্চিতকরণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতার প্রভাব নিরস্ত্রীকরণ, অপ্রসারণ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার সূক্ষ্ম ভারসাম্য নিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আলোচনায় প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

ওয়েজম্যান ইনস্টিটিউটের পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের একটি ঐতিহাসিক ওভারভিউ

20 শতকের মাঝামাঝি, ইস্রায়েলের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা, আইসোটোপ এবং নিম্ন-গ্রেডের আইসোটোপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি যাত্রা শুরু করে, যা পারমাণবিক গবেষণায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মঞ্চ তৈরি করে। এই নিবন্ধটি ইনস্টিটিউটের পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রতিষ্ঠা, ইসরায়েলের পারমাণবিক সাধনায় এর প্রধান ভূমিকা, এবং গোপন কার্যকলাপ যা জাতির পারমাণবিক ক্ষমতাকে রূপ দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করে।

ইয়াদা এবং শিল্প গবেষণার জন্ম

1956 সালে, ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট হালকা এবং ভারী জলের উৎপাদনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে শিল্প ও পরীক্ষামূলক গবেষণার জন্য "ইয়াদা" কোম্পানি গঠন করে। এই পদক্ষেপটি পারমাণবিক প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য ইসরায়েলের অনুসন্ধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চুল্লি নির্মাণ

পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী এবং একটি পারমাণবিক শক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা দ্বারা চালিত, ইসরায়েল বেশ কয়েকটি চুল্লি নির্মাণ শুরু করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিমোনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টার ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে আবির্ভূত হয়।

ডিমোনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: জ্ঞানের জন্য একটি অনুঘটক

ডিমোনা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট সহ চুল্লিগুলির নির্মাণ এবং সক্রিয়করণ, ইহুদিবাদী বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক শক্তির ব্যাপক জ্ঞানের সাথে সজ্জিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটের সাথে যুক্ত অধ্যাপক ডয়েস্ট্রোস্কি, এমনকি বিদ্যুতের প্রয়োজন ছাড়াই ভারী জল উৎপাদনের জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করেছেন, খরচ এবং উৎপাদনের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছেন।

ভূ-রাজনৈতিক কৌশল এবং গোপনীয়তা

গোপনীয়তা বজায় রাখা ইস্রায়েলের জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 1957 সাল পর্যন্ত, বিদ্যুত ছাড়া ভারী জল উত্পাদন করার পদ্ধতিটি ঘনিষ্ঠভাবে রক্ষা করা হয়েছিল। উপরন্তু, 1958 সালে, মধ্যে একটি গোপন চুক্তি ফ্রান্স ও ইসরায়েল পৌঁছেছে যেখানে ফ্রান্স ইসরাইলকে নতুন করে সরবরাহ করবে ফরাসি G-3 ধরনের পারমাণবিক চুল্লি। বিনিময়ে, ফ্রান্স ভারী জল উৎপাদনের জন্য শ্রেণীবদ্ধ সূত্র পেয়েছে।

রিশন লেজিওন এবং নাহাল সুরিক রিঅ্যাক্টর: পারমাণবিক ক্ষমতার অগ্রগতি

12 ফেব্রুয়ারী, 1957 তারিখে চালু করা রিশন লেজিয়ন চুল্লি ইসরায়েলের পারমাণবিক প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত। আমেরিকান পারমাণবিক প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় নির্মিত, এই চুল্লিটির ক্ষমতা ছিল 8 মিলিয়ন মেগাওয়াট এবং এটি বৈজ্ঞানিক ও গবেষণার উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল, তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তৈরি করে।

রিশন লেজিওনের সাফল্যের পর, নাহাল সুরিক চুল্লিটি 17 জুলাই, 1957-এ নির্মাণ শুরু করে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক কোম্পানির সহযোগিতায় বিকশিত এই চুল্লিটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তৈরির জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম-235 ব্যবহার করে। প্রাথমিক নয় বছরে, এর ক্ষমতা পাঁচগুণ বেড়েছে, যা 2.5 মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।

উইজম্যান ইনস্টিটিউটে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রতিষ্ঠা, কৌশলগত সহযোগিতা এবং গোপন উদ্যোগের সাথে, ইসরায়েলের পারমাণবিক ল্যান্ডস্কেপ গঠনে একটি নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা পালন করেছে। গোপনীয় উন্নয়ন থেকে মূল চুল্লি নির্মাণের যাত্রা বিশ্ব পারমাণবিক অঙ্গনে একটি বিশিষ্ট অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য জাতির দৃঢ়সংকল্পের উপর জোর দেয়, এমন একটি সাধনা যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে চলেছে।

দিমোনা পারমাণবিক চুল্লি: সহযোগিতা এবং বিস্তারের একটি বিতর্কিত গল্প

ডিমোনা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের নির্মাণ, ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, গোপনীয়তা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পটভূমিতে উন্মোচিত হয়। প্রায় 90 মিলিয়ন ডলারের আনুমানিক খরচ সহ, 1960 এর দশকের গোড়ার দিকে চুল্লির সূচনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েলের মধ্যে জটিল সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় চিহ্নিত করে।

সহযোগিতার উত্স

আমেরিকান-ইসরায়েলি পারমাণবিক সহযোগিতার শিকড় ইহুদিবাদী রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক দিনগুলিতে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। 1949 সালে এটি প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই, ইসরায়েলিদের পারমাণবিক ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। 1955 সালে ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রতিষ্ঠার সাথে এই অংশীদারিত্বটি গতি লাভ করে, যা উদারভাবে ওয়াশিংটন দ্বারা সমর্থিত ছিল, যা মার্কিন পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে 15,000 পাঠ্যপুস্তক, প্রতিবেদন এবং প্রকাশনাগুলি দান করে এবং অতিরিক্ত $350,000 সহ।

ডিমোনার ক্ষমতা এবং বিস্তারের উদ্বেগ

ডিমোনা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর, 1963 সাল থেকে চালু ছিল, প্রতি মেগাওয়াট শক্তিতে 1 গ্রাম প্লুটোনিয়াম উত্পাদন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যা দৈনিক 24 গ্রাম প্লুটোনিয়াম এবং বার্ষিক 8760 গ্রাম আউটপুট তৈরি করতে সক্ষম করে। উৎপাদনের এই স্তরটি সম্ভাব্যভাবে বার্ষিক 1 থেকে 2টি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট উপাদান উৎপাদন করতে পারে। যেহেতু চুল্লিটির ক্ষমতা 24 সালের মধ্যে 70 থেকে 1980 মেগাওয়াটে বেড়েছে, এর বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে, কারণ এটি তখন দৈনিক 250 গ্রাম বা বার্ষিক 25 কিলোগ্রাম উত্পাদন করতে পারে।

ডিমোনাকে ঘিরে গোপনীয়তা

ডিমোনা চুল্লির নির্মাণ ও পরিচালনা গোপনীয়তার মধ্যে আবৃত ছিল, ইসরাইল বহু বছর ধরে এর অস্তিত্ব নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। এই অস্বচ্ছতা আন্তর্জাতিক জল্পনা-কল্পনা এবং উদ্বেগকে উদ্দীপিত করেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সহায়তা করার জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। 1955 সালের আমেরিকান-ইসরায়েল চুক্তিটি সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল তবে পারমাণবিক অপ্রসারণ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিকাশ করছে বলে বিশ্বাস করা একটি জাতিকে সমর্থন করার প্রভাব সম্পর্কে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি পারমাণবিক ক্ষমতা অনুসরণকারী দেশ এবং এই জাতীয় প্রযুক্তির বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া দেশগুলির মধ্যে সূক্ষ্ম নৃত্যের প্রতীক হিসাবে রয়ে গেছে। পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে সহযোগিতা, যা জায়নবাদী রাষ্ট্রের প্রথম বছরগুলিতে শুরু হয়েছিল, স্বচ্ছতা, বিস্তার এবং পারমাণবিক কূটনীতির স্থায়ী জটিলতা সম্পর্কে প্রশ্ন জাগিয়ে চলেছে।

পারমাণবিক প্রচেষ্টায় মার্কিন-ইসরায়েল অংশীদারিত্ব

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছায়ায়, জোটগুলি প্রায়ই গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে গঠিত হয়, যা ভূ-রাজনৈতিক ইতিহাসের গতিপথকে রূপ দেয়। রিশোন লেজিয়ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে এরকম একটি কৌতূহলী সহযোগিতার প্রকাশ ঘটে। এই অংশীদারিত্ব, গোপনীয়তায় আবৃত, ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় চিহ্নিত করে, দক্ষতা এবং সম্পদ বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করেছে।

এই গোপন অংশীদারিত্বের উৎপত্তি রিশোন লেজিয়ন পারমাণবিক চুল্লির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী স্থানান্তর থেকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। একটি উল্লেখযোগ্য 12 টন ইউরেনিয়াম, এটির উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনীয়, ওয়াশিংটন বিচক্ষণতার সাথে হস্তান্তর করেছিল। চুল্লি উদ্বোধনের মাত্র সাত মাস পরে, ইহুদিবাদীরা নাহাল সুরিক এবং নবী রুবেন পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য তাদের নতুন জ্ঞান লাভ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে সহযোগিতা অপ্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ইসরায়েলি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য জ্বালানীর স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। এই সরবরাহ, হয় আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বা আমেরিকান-সমর্থিত ইসরায়েলি চুরি এবং চোরাচালান কার্যক্রমের মাধ্যমে সহজতর করা হয়, তাদের সহযোগিতার জটিল প্রকৃতির উপর জোর দেয়। সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ছিল 1968 সালে বেলজিয়াম থেকে ইসরায়েলে 200 টন ইউরেনিয়াম পাচার, একটি ঘটনা যা এই দেশগুলি তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য কতটা দৈর্ঘ্যকে নির্দেশ করে।

মে 1977 সালে, সালজবার্গে একটি অ-পারমাণবিক ভবিষ্যতের জন্য সম্মেলনের সময়, আমেরিকান বিশেষজ্ঞ পল লেনিনথাল 200 সালে ভূমধ্যসাগরে 1968 টন ইউরেনিয়াম নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন। তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে এই উল্লেখযোগ্য পরিমাণটি গোপনে ইস্রায়েলে তার পথ খুঁজে পেয়েছে। ইউরেনিয়ামের এই ক্যাশে, তিনি জোর দিয়েছিলেন, 42টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট ছিল, যা গোপন সহযোগিতার পরিণতির মাত্রার উপর আলোকপাত করে।

পারমাণবিক প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েলের মধ্যে গোপন সম্পর্কগুলি কেবল স্বার্থের কৌশলগত প্রান্তিককরণকে হাইলাইট করেনি বরং প্রযুক্তিগত দক্ষতার জন্য দেশগুলিকে কতটা দীর্ঘায়িত করতে হবে তাও দেখায়। ইতিহাসের এই লুকানো অধ্যায়গুলি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে, এই ধরনের গোপন সহযোগিতার উত্তরাধিকার ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে রূপ দিতে থাকে, যা আমাদের ক্ষমতা এবং প্রভাবের তাড়নায় জাতিগুলির মধ্যে জটিল নৃত্য নিয়ে চিন্তা করতে দেয়।

পারমাণবিক শক্তির সাথে "ইসরায়েল" সহযোগিতার উন্মোচন

পারমাণবিক উন্নয়নের জটিল বিশ্বে, "ইসরায়েল" রাষ্ট্রটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে উন্নত ক্ষমতার অধিকারী দেশগুলির সাথে সহযোগিতা স্থাপন করা অপরিহার্য বলে মনে করেছে। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি "ইসরায়েল" কে পারমাণবিক সম্ভাবনার চাষ এবং অধিকার করার অনুমতি দেয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলির সাথে অংশীদারিত্বের উপর জোর দেয়।

ফ্রান্সের প্রধান ভূমিকা

এই সহযোগীদের মধ্যে, ফ্রান্স পারমাণবিক দক্ষতা এবং "ইসরায়েল" সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রেরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে, যা জাতিকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং মালিকানাধীন করতে সক্ষম করে। 1949 সালে, প্রফেসর ফ্রান্সিস পেরিন, ফরাসী পারমাণবিক শক্তি কমিশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে, দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং প্রকল্পগুলির অন্তর্দৃষ্টি অর্জনের জন্য "ইসরায়েল"-এ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে প্লুটোনিয়াম আহরণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল।

পেরিনের নেতৃত্বে, ফরাসি বিশেষজ্ঞরা, পরে ফরাসি পরমাণু শক্তি কমিশনের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, "ইসরায়েলি" গবেষকদের প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম আহরণের অনুমতি দিয়ে একটি পদ্ধতি পরীক্ষা করার জন্য জায়নবাদী বিজ্ঞানীদের সমর্থন করেছিলেন। ফলে, ফ্রান্স ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে MD-660 রকেট সরবরাহ করেছে, যার সাথে মার্সেল ডাসাল্টের কোম্পানির সম্পূর্ণ নির্মাণ পরিকল্পনা "ইসরায়েলে" তৈরি করা হবে। 'জেরিকো' নামে পরিচিত এই রকেটগুলি হল স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র যা পারমাণবিক ওয়ারহেড পরিবহনে সক্ষম।

জুন 1967 যুদ্ধের পরপরই "ইসরায়েল" এর সাথে পারমাণবিক সহযোগিতায় সাময়িক স্থগিত হওয়া সত্ত্বেও, 1984 সালের নভেম্বরে পেরেসের ফ্রান্স সফরের সময় একটি উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছিল। নিউজ এজেন্সি দুটি ফরাসি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কেনার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার প্রতিটির ক্ষমতা 950 মেগাওয়াট।

বর্ণবাদ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সহযোগিতা

1960-এর দশকের মাঝামাঝি, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং "ইসরায়েল" এর মধ্যে একটি পারমাণবিক সহযোগিতার উদ্ভব হয়েছিল। এই অংশীদারিত্বের ভিত্তি ইউরেনিয়ামের মতো পারমাণবিক উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দক্ষিণ আফ্রিকার মালিকানার সাথে মিলিত অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তির "ইসরায়েলের" দখলের উপর নির্ভর করে। উভয় শাসক একটি বর্ণবাদী প্রকৃতি ভাগ করেছে, তাদের সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করেছে। "ইসরায়েল" সক্রিয়ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফারি I এবং Safari II, দুটি চুল্লি নির্মাণে অংশগ্রহণ করেছিল।

এই সহযোগিতা অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম সরবরাহের জন্য প্রসারিত হয়েছে, যা পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চার দশক ধরে ডিমোনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহারে, পারমাণবিক শক্তির সাথে "ইসরায়েলি" সহযোগিতার ঐতিহাসিক আখ্যান জটিল সম্পর্ক, ভূ-রাজনৈতিক কৌশল এবং জাতীয় স্বার্থ সাধনের একটি জাল প্রকাশ করে। সঙ্গে অংশীদারিত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং তাইওয়ান "ইসরায়েলের" পারমাণবিক ক্ষমতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে রাজনীতি এবং প্রযুক্তির জটিল আন্তঃক্রিয়াকে চিত্রিত করেছে।

একটি গুপ্তচর কেলেঙ্কারি কৌশলগত এবং সামরিক সাধনা প্রকাশ করে

ঘটনাগুলির একটি চমকপ্রদ মোড়তে, সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সিমনস্টাউন নৌ ঘাঁটির কমান্ডার কর্নেল ডিটার গেরহার্ড ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অস্বস্তির চাবিকাঠি ধরে রাখতে পারেন। গোপন যৌথ গবেষণা এবং পারমাণবিক পরীক্ষার ইঙ্গিত দিয়ে সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়ে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ন্যাটোর পারমাণবিক কৌশলে ইসরায়েলের একীকরণ সম্পর্কে গেরহার্ডের বিশেষ জ্ঞান ছিল, যা দেশের অপ্রকাশিত কার্যকলাপ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

ইসরায়েলের মহাকাশ প্রচেষ্টা: গোপনীয়তা থেকে বৈশ্বিক সহযোগিতা পর্যন্ত

ইসরায়েলের মহাকাশ শিল্প এবং বিজ্ঞানের শিকড়গুলি 25 সালের এপ্রিল মাসে ইসরায়েলি স্পেস এজেন্সি প্রতিষ্ঠার 1983 বছরেরও বেশি আগে খুঁজে পাওয়া যায়। এই গোপন সময়কালে, রাজনৈতিক এবং আর্থিক কারণে কঠোরভাবে গোপনীয় রাখা হয়েছিল, কার্যকলাপগুলি একটি সংকীর্ণ সুযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

ইসরায়েলি স্পেস এজেন্সির গঠন এবং প্রাথমিক কার্যক্রম

1983 সালে প্রতিষ্ঠিত, ইসরায়েলি স্পেস এজেন্সির প্রাথমিক ফোকাস ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থাগুলির সাথে ইসরায়েলি যোগাযোগ স্থাপন এবং প্রসারিত করা। মহাকাশে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অনুমতির জন্য "Intelsat" সংস্থার কাছে তাদের অনুরোধ প্রথমে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল কিন্তু পরে গৃহীত হয়েছিল। সংস্থাটি, স্যাটেলাইট নির্মাণে অর্থায়ন করতে অক্ষম, ইহুদি উপকারকারীদের নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় $150 মিলিয়ন সংগ্রহ করেছে, যাতে তারা মহাকাশে ইসরায়েলি স্টেশন ব্যবহার করতে পারে। একটি আমেরিকান কোম্পানী স্যাটেলাইটটি নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল এবং আমেরিকান বা ইউরোপীয় "Ariane" রকেট ব্যবহার করে এটি উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত মুলতুবি রয়েছে।

জিন ফ্রিডেম্যানের সমালোচনামূলক ভূমিকা

ইসরায়েলি স্যাটেলাইট নির্মাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা হল জিন ফ্রিডেম্যান, একজন ইহুদি-ফরাসি ব্যবসায়ী এবং 'জেনারেল স্যাটেলাইট কোম্পানি'র প্রেসিডেন্ট। ফ্রাইডম্যান ইসরায়েলি স্যাটেলাইট প্রকল্পের সমাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য চারটি পশ্চিমা ব্যাঙ্কের কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ $200 মিলিয়ন ঋণ পান। . ফ্রাইডম্যানের মতে, স্যাটেলাইট নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণ 1988 সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মহাকাশে ইসরায়েলের গোপন সামরিক এজেন্ডা

মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইসরায়েল যে কৌশলগত এবং সামরিক সুবিধা অর্জন করতে পারে তা এখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত। ইসরায়েল তার মহাকাশ প্রকল্পের বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে, দাবি করে যে স্যাটেলাইটগুলি শুধুমাত্র যোগাযোগ, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক লাভের জন্য কাজ করে।

যাইহোক, এই দাবিগুলি উন্মোচিত হয় যখন বিবেচনা করা হয় যে ইস্রায়েলের বৈজ্ঞানিক ও আর্থিক সহায়তার প্রাথমিক উত্স হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে প্রায় 70% মহাকাশ কার্যক্রমের সামরিক প্রয়োগ রয়েছে। স্যাটেলাইটগুলি আজ নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ এবং গুপ্তচরবৃত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের কৌশলগত প্রতিরক্ষা উদ্যোগ (SDI) ঘোষণার সাথে একই বছরে ইসরায়েলি স্পেস এজেন্সির প্রতিষ্ঠা উপগ্রহ উৎপাদন এবং মহাকাশ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যাশিত সামরিক উদ্দেশ্যগুলির সাথে সারিবদ্ধ।

ইসরাইল এবং এসডিআই প্রোগ্রাম: একটি গোপন অংশীদারিত্ব উন্মোচন করা হয়েছে

1983 সালে গ্রেনাডায় আমেরিকান আক্রমণের পর, রাষ্ট্রপতি রেগান প্রথমবারের মতো স্টার ওয়ার্স প্রোগ্রামের ধারণাটি উল্লেখ করেছিলেন। তার বক্তৃতার শেষে, তিনি ‘প্রজেক্ট ফর স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স’ নামে পরিচিত একটি গবেষণা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমোদন ঘোষণা করেন। রিগ্যানের স্টার ওয়ার্স কর্মসূচির ঘোষণার তিন বছর পর, জায়নিস্ট রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে।

প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং সামরিক সাধনা

1985 সালে, পশ্চিমা উত্সগুলি দক্ষিণ আফ্রিকার সিমনস্টাউন নৌ ঘাঁটিতে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির লক্ষ্যে শাসনের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। উপরন্তু, পারমাণবিক ওয়ারহেড পরিবহনে সক্ষম কৌশলগত স্থল থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির যৌথ প্রচেষ্টা উন্মোচন করা হয়েছিল। সহযোগিতাটি ভাগ করা সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে ইঙ্গিত করেছে, ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে আরও জটিল করে তুলেছে।

গুপ্তচরবৃত্তির কেলেঙ্কারি প্রকাশের সাথে সাথে, ইসরায়েলের মহাকাশ প্রচেষ্টা এবং সামরিক অংশীদারিত্বের লুকানো মাত্রাগুলি প্রকাশ্যে আসে, যা আন্তর্জাতিক তদন্তের প্ররোচনা দেয় এবং এর সীমানার বাইরে জাতির কার্যকলাপের ধারণাগুলিকে পুনর্নির্মাণ করে।

ন্যাটো সোল-প্রোগ্রামে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা

ইতিহাসের ইতিহাসে, ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের নামের উল্লেখ আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব ওয়েইনবার্গারের 26 মার্চ, 1985-এ ন্যাটো পারমাণবিক পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকের সময় প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। ওয়েইনবার্গার ঘোষণা করেছেন যে "ইসরায়েল" সক্রিয়ভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গবেষণা ও উন্নয়নে জড়িত হওয়া উচিত। এসওএল-প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য "ইসরায়েল"-এর আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ 5 এপ্রিল, 1985-এ পৌঁছেছিল, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাবিনের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল।

প্রতিক্রিয়া জানাতে "ইসরায়েল" কে দেওয়া দুই মাসের সময়সীমা সত্ত্বেও, প্রোগ্রামে ইসরায়েলের জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এক বছর পরে এসেছিল। পেন্টাগনে রাবিন এবং তার আমেরিকান প্রতিপক্ষ ওয়েইনবার্গারের মধ্যে একটি সরকারী নথি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এই উদ্ঘাটনটি উদ্ঘাটিত হয়, যা "ইসরায়েল"কে ইংল্যান্ড এবং পশ্চিম জার্মানির পরে তৃতীয় দেশ হিসেবে এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি করে।

প্রোগ্রামে "ইসরায়েল" অংশগ্রহণের প্রকাশের আগে, ইহুদিবাদী বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। বিভিন্ন ইসরায়েলি সংবাদপত্র সম্ভাব্যতা এবং জড়িত থাকার ক্ষেত্রগুলির গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সামরিক ও বৈজ্ঞানিক প্রতিনিধিদল বিনিময় হয়। জায়নবাদী রাষ্ট্র আমেরিকান ডিপার্টমেন্টের কাছে পরামর্শ এবং ধারণা প্রস্তাব করার জন্য কোম্পানি, কারখানা এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে সবুজ আলো দিয়েছে।

এই উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের সুবিধার্থে "ইসরায়েল"-এ পর্যবেক্ষণ, সংগঠন এবং সমন্বয় কেন্দ্রগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই পদক্ষেপটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে "ইসরায়েল" এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চিহ্নিত করেছে।

এই ঐতিহাসিক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টার মূল খেলোয়াড় হিসেবে "ইসরায়েলের" মর্যাদাকে শুধু উন্নীতই করেনি বরং ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সূচনা করেছে। ন্যাটো সোল-প্রোগ্রামে "ইসরায়েলের" অংশগ্রহণের কৌশলগত গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে সংবাদপত্র এবং অফিসিয়াল বিবৃতিতে বর্ণনাটি প্রকাশিত হয়েছে। সহযোগিতাটি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, এটিকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগতির সাথে সারিবদ্ধ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক গবেষণা দল

একটি যুগান্তকারী উন্নয়নে, সামরিক গবেষণায় নিবেদিত একটি বিশেষ দল, আমেরিকানদের দেওয়া ফলাফল সহ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিল ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহায়তায়, ইসরায়েলের বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব প্রণয়ন এবং বেসামরিক খাতে গবেষণা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ডঃ অ্যারন মোশেন, যার নেতৃত্বে একটি যোগাযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আমেরিকান বিভাগে প্রস্তাব গ্রহণ এবং ফরোয়ার্ড করার মাধ্যমে এই প্রোগ্রামে ইসরায়েলি কোম্পানিগুলিকে একীভূত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তীব্র সহযোগিতা 1985 সালে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন বিশেষজ্ঞদের একটি আমেরিকান প্রতিনিধিদল গবেষণা ও অধ্যয়ন কেন্দ্র, ইসরায়েলি কোম্পানি এবং ইসরায়েলি শিল্প সমিতির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ইসরায়েল সফর করে। বিনিময়ে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সভাপতি ডক্টর বেন জিয়ন নাফি এবং ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডয়েস্ট্রোকির নেতৃত্বে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল একই উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন সফর করে।

জেনারেল আব্রামসন, আমেরিকান এসডিআই প্রকল্পের চেয়ারম্যান, 1985 সালের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েল সফর করেছিলেন, তেল আবিবে বলেছিলেন যে তার সফরের উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানিগুলি এসডিআই বিভাগের সাথে কতটা সহযোগিতা করতে পারে তা মূল্যায়ন করা। ইসরায়েলি প্রচারণার দাবির বিপরীতে, আব্রামসন প্রকাশ করেছেন যে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলি একটি ইলেকট্রনিক-চৌম্বকীয় কামানের মতো ধারণাগুলি প্রস্তাব করেছিল, যা SDI বিভাগ থেকে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ অর্জন করেছিল।

এই উদ্ঘাটনটি এই দাবিগুলিকে অস্বীকার করে যে এসডিআই প্রোগ্রামে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা সামরিক ব্যবস্থার উত্পাদন বাদ দিয়ে যোগাযোগ, কম্পিউটার এবং লেজার বিমের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তির শ্রেণীবদ্ধ প্রকৃতি এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের সমস্ত পর্যায়ে ইসরায়েলের অংশগ্রহণকে আরও জোরদার করে।

জেনারেল আব্রামসন নিশ্চিত করেছেন যে ইউএসএ প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য এসডিআই প্রোগ্রাম ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে, যদিও প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। হাইড্রোজেন বোমার জনক আমেরিকান প্রফেসর এডুয়ার্ড টেলরকে উদ্ধৃত করে 20 আগস্ট, 1985-এ 'Haaretz' দ্বারা রিপোর্ট করা SDI প্রোগ্রামে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য সুবিধা উপস্থাপন করে। টেলর জোর দিয়েছিলেন যে এসডিআই প্রকল্পে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ স্থল-থেকে-ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ব্যর্থ করতে উন্নত লেজার বিম এবং কম্পিউটার দিয়ে সজ্জিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে সহায়তা করবে।

11 এপ্রিল, 1985 তারিখে সংবাদপত্র ‘আল হামিশমার’ রিপোর্ট করেছে যে ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা এসডিআই প্রোগ্রাম সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা ডোমেনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীভূত শক্তি, ট্র্যাকিং এবং টার্গেটিং সিস্টেম, নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং অস্ত্র ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে অস্ত্র নেটওয়ার্ক।

নিবন্ধটি SDI প্রোগ্রামের সকল পর্যায়ে ইসরায়েলের অংশগ্রহণের তাৎপর্য তুলে ধরে, এই সহযোগিতার প্রকৃতি এবং ব্যাপ্তি সম্পর্কে পূর্ববর্তী বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে। অধিকন্তু, এটি ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তির আশেপাশের গোপনীয়তার উপর জোর দেয়। মহাকাশ-সম্পর্কিত প্রচেষ্টায় সহযোগিতা, বেশ কয়েক বছর আগের ডেটিং, সম্পর্কের গভীরতাকে আরও জোর দেয়, ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা মহাকাশ শিল্পে গবেষণা প্রকল্পগুলিতে অবদান রাখে, যা মূলত আমেরিকান সামরিক বাহিনী দ্বারা অর্থায়ন করে।

1986 সালের নভেম্বরে, এসডিআই প্রকল্পে ব্রিটিশ-ইসরায়েলি সহযোগিতার সূচনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সূত্রের মতে, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি দল আমেরিকান কর্তৃপক্ষের সাথে একটি বিশেষ চুক্তিতে বর্ণিত স্টার ওয়ার উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির জন্য আমেরিকান স্পেস স্টেশনগুলিকে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল।

1986 সালের মার্চ মাসে ইসরায়েলি প্রেস জার্মানি এবং ইসরায়েলের মধ্যে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, এবং জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, ওয়ার্নারের সফরের সময় এসডিআই প্রোগ্রামে তাদের যৌথ অংশগ্রহণের সম্ভাবনার বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়।

উপসংহারে, SDI প্রোগ্রামে ইসরায়েলের সক্রিয় সম্পৃক্ততা, বিভিন্ন গবেষণা ডোমেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা বিস্তৃত, একটি ব্যাপক অংশীদারিত্ব প্রকাশ করে যা পূর্ববর্তী জনসাধারণের জ্ঞানের বাইরে যায়। এই সহযোগিতার কৌশলগত প্রভাব, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জোটের জটিল এবং বিকশিত প্রকৃতির উপর আন্ডারস্কোর করে।

এসডিআই প্রোগ্রামে ইসরায়েলের কৌশলগত ভূমিকা

স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) প্রোগ্রামে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র সামরিক ও প্রযুক্তিগত লক্ষ্যই নয়, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও অন্তর্ভুক্ত করে। এই নিবন্ধটি বহুমুখী লক্ষ্যগুলি নিয়ে আলোচনা করে যা ইসরাইল এসডিআই প্রোগ্রামে জড়িত থাকার মাধ্যমে অর্জন করার লক্ষ্য রাখে, ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের জন্য কৌশলগত প্রভাব এবং সম্ভাব্য পরিণতির উপর আলোকপাত করে।

ন্যাটোর পারমাণবিক পরিকল্পনায় একীকরণ

এসডিআই প্রোগ্রামে ইসরায়েলের অংশগ্রহণকে ন্যাটোর কৌশলগত পারমাণবিক পরিকল্পনায় "ইসরায়েল" এর চূড়ান্ত একীকরণের দিকে একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়। "ইসরায়েলি" সংবাদপত্র 'আল হারনিশমার'-এর প্রতিবেদনগুলি এই দৃষ্টিকোণকে নিশ্চিত করে, ইউরোপ-আমেরিকান জোটের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসাবে জাতির ভূমিকার উপর জোর দেয়।

মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং পারমাণবিক হুমকি

ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ পারমাণবিক শক্তি, যার কাছে দক্ষ ওয়ারহেড থেকে থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার উপাদান পর্যন্ত অস্ত্রাগার রয়েছে, তা ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে একটি মনস্তাত্ত্বিক মাত্রা যোগ করে। লক্ষ্য হল পদত্যাগ এবং হতাশার পরিবেশ তৈরি করা, ইসরায়েলের উন্নত প্রযুক্তির মোকাবিলা করার অনুভূত অসম্ভবকে জোর দেওয়া।

অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক বিবেচনা

এসডিআই প্রকল্পে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটে গবেষণা প্রকল্পের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত আর্থিক সহায়তার পথ খুলে দেয়। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তর সঙ্কট মোকাবেলায় ইসরায়েলি বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা এবং প্রতিভার বহির্গমন রোধ করা এই অর্থনৈতিক সহায়তার লক্ষ্য।

প্রতিরোধের কৌশলগত গুরুত্ব

"পারমাণবিক বিকল্পের" উপর ইসরায়েলের নির্ভরতা ক্ষমতার ঐতিহ্যগত ভারসাম্যকে পরিবর্তন করে। পারমাণবিক অস্ত্রের দখল আরব-জায়নিস্ট দ্বন্দ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এই ধরনের অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারকে কেন্দ্র করে আলোচনা। পারমাণবিক প্রতিরোধের উপর জোর দেওয়ার লক্ষ্য একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কৌশল উপস্থাপন করে আচরণ এবং উদ্দেশ্যগুলির পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করা।

উপসংহারে, এসডিআই প্রোগ্রামে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র সামরিক ও প্রযুক্তিগত স্বার্থই নয়, কৌশলগত রাজনৈতিক লক্ষ্যও পূরণ করে। পারমাণবিক ক্ষমতার অন্বেষণ মধ্যপ্রাচ্যের গতিশীলতাকে নতুন আকার দেয়, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের উপাদান, অর্থনৈতিক বিবেচনা এবং প্রতিরোধের একটি পুনর্নির্ধারিত ধারণার প্রবর্তন করে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মঞ্চে SDI প্রোগ্রামে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার বৃহত্তর প্রভাব বোঝার জন্য এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলি বোঝা অপরিহার্য।

মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক প্রতিরোধ

ক্রমবর্ধমান সামরিকীকরণ এবং ওয়াশিংটন দ্বারা অনুসৃত ক্রমাগত অস্ত্র তৈরির মুখে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সমাপ্তি এবং আমেরিকান পরাজয়ের পর থেকে আরব অঞ্চল একটি নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে। "ইসরায়েল" দৃষ্টিকোণ থেকে, সিরিয়ার কথিত সামরিক শক্তিশালীকরণের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান আলোচনা হচ্ছে, পরিমাণগত এবং গুণগতভাবে। এই ধরনের বিবৃতির আলোকে, ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের দ্বারা প্রকাশ্য ও অ-সর্বজনীন ঘোষণা এবং কর্ম উভয়ই পারমাণবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনে তার আরও অস্ত্রের ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য জমা হচ্ছে - অস্ত্রগুলিকে সানডে টাইমস দ্বারা সমগ্র শহরগুলিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করা হয়েছে।

ইহুদিবাদী রাষ্ট্র গোলান মালভূমিতে আকস্মিক সিরিয়ার যুদ্ধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে দাবি করে এই নির্মাণকে ন্যায্যতা দেয়, কিন্তু বাস্তবে, এটি আরব জাতির বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকে নিয়োগ করে। এই ন্যায্যতাগুলির ব্যবহারিক বাস্তবায়ন ঘন ঘন সামরিক কৌশলে স্পষ্ট হয়, অনুমিত হয় যে একটি অনুমানমূলক যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত হতে হবে।

ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের জন্য প্রতিরোধের মাধ্যমে আরবদের চাপ দেওয়ার চেষ্টা নতুন নয়। প্রাক্তন বিজ্ঞান মন্ত্রী ইউভাল নিমান একবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন যখন দক্ষিণ লেবাননের শহর নাকুরায় লেবানিজ-"ইসরায়েল" আলোচনা একটি অচলাবস্থায় পৌঁছেছিল। "ইসরায়েল" প্রত্যাহার করতে বাধ্য হওয়ার পরে নতুন রাজনৈতিক ভিত্তি খুঁজতে, "ইসরায়েল" 20 বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ নিশ্চিত করেছে যে "ইসরায়েল" 50 থেকে 100টির মধ্যে পারমাণবিক বোমা ধারণ করেছে এবং 100 শতকের শেষ নাগাদ 20 টিরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এই ধরনের অধ্যয়নগুলি "ইসরায়েল" পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করে, বিশেষ করে জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিশ্বকে অন্ধকারে রাখার অসংখ্য প্রচেষ্টা বিবেচনা করে একই সাথে আরব দেশগুলির পারমাণবিক চুল্লির দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, এমনকি যদি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে এবং আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।

প্রাক্তন ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়ন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সি. হার্টার 1960 সালে অস্বীকার করলেও, 1958 সালে নির্মিত "ইসরায়েলি" পারমাণবিক চুল্লিটি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ছিল, "ইসরায়েল" ক্রমাগত পারমাণবিক অস্পষ্টতাকে প্রতিরোধের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। . "ইসরায়েল" মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক মুক্ত অঞ্চল ঘোষণার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অস্পষ্টতা এবং সন্দেহ বৃদ্ধি পায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লেভি এসকোল এমনকি বলেছেন যে আরব এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকির কারণে "ইসরায়েল" পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিল তার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে।

তেল আবিবের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন বিশেষজ্ঞ ডঃ শে ওয়াইল্ডম্যানের মতে, "ইসরায়েল" একটি সরকারী এবং সর্বজনীন পারমাণবিক প্রতিরোধ নীতি পরিচালনা করা এড়াতে পারে না, দাবি করে যে এটি সর্বাধিক নিরাপত্তা প্রদান করে। ইহুদিবাদী সংবাদপত্র 'হারেৎজ' জোর দিয়েছিল যে এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের উপর "ইসরায়েলের" একচেটিয়া অধিকারই এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের পারমাণবিক কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইউভাল নিম্যান বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। ইসরায়েলকে জনসংখ্যা বণ্টনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রচেষ্টা করতে হবে কারণ নিঃসন্দেহে, জনসংখ্যার সিংহভাগই তেল আবিব এবং উপকূলীয় সমভূমিতে বাস করে, যা আমাদের আরবদের চেয়েও বড় বিপদের সম্মুখীন করে।

অতীতে, লেখক চার্লস জেড. ঘুবাইব "ইসরায়েল" পারমাণবিক অস্ত্র এবং প্রতিরোধের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, উল্লেখ করেছেন যে পারমাণবিক প্রতিরোধ, যা থেকে ইসরায়েল উপকৃত হতে পারে, বিলুপ্ত করা হয়নি, বিশেষ করে প্রতিপক্ষদের মধ্যে সন্দেহ উত্থাপিত হয়েছে।

মোশে দায়ান অবশ্য "ইসরায়েল" প্রতিরোধ কৌশল সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ছিলেন, প্রাথমিকভাবে ভয় দেখানোর উপর ভিত্তি করে এবং তারপরে প্রকৃত প্রতিরোধের উপর ভিত্তি করে। 1960-এর দশকে, তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, "আমি বিশ্বাস করি যে আমরা এখন পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি!"

1966 সালে নেগেভ মরুভূমিতে একটি "ইসরায়েল" পারমাণবিক পরীক্ষার গুজব এবং প্রিটোরিয়ায় বর্ণবাদী শাসনের সাথে যৌথ পরীক্ষার গুজব ছড়িয়ে পড়ে 1981 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত মৈত্রী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এবং 1983 সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। অনেকে বিশ্বাস করেন যে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে এটি বেছে নিয়েছে। জোট গঠনের আগে পরমাণু বিকল্প।

মারাচ এবং লিকুদের পারমাণবিক প্রতিরোধ নীতি

মারাচ এবং লিকুদের পারমাণবিক প্রতিরোধ নীতি, ইসরায়েলের দুটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক দল, তাদের কৌশলগত পদ্ধতির মধ্যে কৌতূহলী পার্থক্য প্রকাশ করে। যদিও উভয় পক্ষই সহাবস্থানকে বলবৎ করার জন্য পারমাণবিক প্রতিরোধের সুবিধা গ্রহণের সাধারণ লক্ষ্য ভাগ করে নেয় এবং ভয় দেখানোর মাধ্যমে মাটিতে সত্য প্রতিষ্ঠা করে, তাদের কৌশল এবং অন্তর্নিহিত দর্শনগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়ে যায়।

লিকুদের উদ্বেগ এবং কৌশল

লিকুদ ব্লকের দৃষ্টিভঙ্গি তার ভয় থেকে উদ্ভূত যে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক ক্ষমতার বিস্তার ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের জন্য সরাসরি হুমকি। ফলস্বরূপ, লিকুদ পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনে একটি "ইসরায়েলি" একচেটিয়া অধিকার বজায় রাখার পক্ষে এবং গোপনে তার অস্ত্রাগার প্রসারিত করার পক্ষে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্বাস করে, একই ধরনের সক্ষমতা অর্জন থেকে আরব রাষ্ট্রগুলিকে বাধা দেওয়ার লক্ষ্য এই পার্টির।

মারাচের গণনাকৃত স্বচ্ছতা

বিপরীতভাবে, মারাচ ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারের প্রকাশ্য স্বীকৃতিকে কৌশলগত সুবিধা হিসাবে দেখেন। প্রকাশ্যে তার পারমাণবিক অবস্থা ঘোষণা করে, ইসরায়েল আরব দেশগুলিকে তার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপগুলি সাবধানে বিবেচনা করতে বাধ্য করে, এমনকি একটি প্রচলিত স্তরেও। মারাচ বিশ্বাস করেন যে এই পদ্ধতিটি আরব রাষ্ট্রগুলিকে জঙ্গি অভিযানে সমর্থন করা থেকে বিরত করে, সম্ভাব্য সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।

লিকুডের ভয় এবং শ্যারনের মতবাদ

লিকুদের আশংকা এই বিশ্বাসের মধ্যে নিহিত যে আরব দেশগুলি শেষ পর্যন্ত আর্থিক উপায়ে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারে। তদুপরি, ইসরায়েলের অনুকূল কৌশলগত অবস্থানের অভাব তার দুর্বলতাকে বাড়িয়ে তোলে। লিকুদ যুগে (1980-1984), প্রভাবশালী শ্যারনের মতবাদ নির্দিষ্ট অঞ্চলের উপর আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তার পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করার জন্য ইস্রায়েলের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উপর সোভিয়েত দৃষ্টিভঙ্গি

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে সোভিয়েত দৃষ্টিভঙ্গি দাবি করে যে ইসরায়েলের নীতিগুলি, আঞ্চলিক সম্প্রসারণে নিহিত এবং সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি দ্বারা সমর্থিত, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও বিস্তৃত। ফ্যাসিবাদী শাসনের সাথে ইসরায়েলের সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়াশীল আন্দোলনের সমর্থন তার বৈরী প্রকৃতির উদাহরণ দেয়।

ভয় প্রচার এবং প্রতিরোধ কূটনীতির ভূমিকা

ইহুদিবাদ ভয় প্রচার এবং প্রতিরোধ কূটনীতিকে কাজে লাগিয়ে আরব নেতাদের বাধ্য করে এবং আরব জনসাধারণকে দ্বন্দ্বমূলক ধারণার বিনোদন থেকে বিরত রাখে। ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সংস্থান এবং অভিজ্ঞতার কারণে আরব পারমাণবিক সক্ষমতার বিশ্বাসকে অবাস্তব বলে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জায়নবাদী প্রতিরোধের ভবিষ্যত লক্ষ্য

ইসরায়েলের পারমাণবিক প্রতিরোধের লক্ষ্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখা, আরব বিশ্বের মধ্যে মিশরকে বিচ্ছিন্ন রাখা এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার কৌশল সারিবদ্ধ করা। ন্যাটোর ব্যাপক কৌশলে ইসরায়েলের একীকরণ তার পারমাণবিক অস্ত্রের দখল এবং স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) এর মতো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্পষ্ট।

আরব ডিটারেন্সের প্রয়োজন

ইহুদিবাদী পারমাণবিক প্রতিরোধের মুখে, আরব দেশগুলির জন্য একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ভিত্তি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই ভিত্তি তাদেরকে রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ইসরায়েলের মোকাবিলা করতে সক্ষম করবে। সাম্রাজ্যবাদ এবং ইহুদিবাদী আগ্রাসনের দ্বারা সৃষ্ট গুরুতর হুমকি মোকাবেলায় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রিয় শক্তির সাথে সহযোগিতা অপরিহার্য।

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগার দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের জন্য আরব দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও কৌশলগত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তির দ্বারা উপস্থাপিত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক জোটের সাথে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ হবে। মুক্তির পথ এবং প্রত্যাবর্তনের অধিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত এবং দৃঢ় প্রতিরোধের মধ্যে নিহিত।

কৌশলগত উদ্দেশ্য উন্মোচন

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ দীর্ঘকাল ধরে জটিল শক্তির গতিশীলতা এবং কৌশলগত স্বার্থ দ্বারা গঠিত হয়েছে। একটি দিক যা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে চলেছে তা হল ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশগুলির দ্বারা প্রদত্ত সমর্থন। এই নিবন্ধটি এই সহায়তার পিছনে অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যগুলি এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য সম্ভাব্য প্রভাবগুলি অনুসন্ধান করতে চায়৷

পারমাণবিক আধিপত্য সংরক্ষণ

এই সমর্থনের অগ্রভাগে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী পারমাণবিক আধিপত্য রক্ষা করা, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পারমাণবিক প্রতিযোগিতা সীমিত করার চুক্তির ক্ষেত্রে, ইসরায়েল ক্রমাগতভাবে এই ধরনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানের অধীন হয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রত্যাখ্যান, পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ এবং পারমাণবিক কার্যকলাপে জড়িত ইসরায়েলের ইতিহাসের সাথে মিলিত, আন্তর্জাতিক নিন্দা করেছে।

কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন

মাঝারি-পাল্লার ভূমি থেকে স্থল-ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্রের দখল এবং উৎপাদন, যেমন 11 কিমি রেঞ্জের "জেরিকো 1450" পুঁজিবাদী দেশগুলির স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি, তাদের বৈশিষ্ট্যে পার্শিং 2-এর মতো, সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির ক্রমাগত পারমাণবিক সুবিধা নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যেকোনো চুক্তির আওতার বাইরে থাকতে পারে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য হুমকি

"জেরিকো 11" ক্ষেপণাস্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়নের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর ক্ষমতা সহ, সরাসরি হুমকির সৃষ্টি করে। এই উন্নয়ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলের পারমাণবিক অগ্রগতির সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।

ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের অগ্রগতি

এই সমর্থনের পিছনে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য হল ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের অগ্রগতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে। এর মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করা এবং সমর্থনকারী দেশগুলির কৌশলগত লক্ষ্যগুলির সাথে সারিবদ্ধ হওয়ার জন্য ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকে প্রভাবিত করা।

উন্মোচন পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা

পশ্চিমা দেশগুলিতে ইসরায়েলের পারমাণবিক ভূমিকা হ্রাস করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলি তার পারমাণবিক ক্ষমতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করে যে ইসরায়েল ভূমধ্যসাগরে "জেরিকো 11" পরীক্ষা করেছে, যার পরিসর 1450 কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, সম্ভাব্যভাবে সোভিয়েত লক্ষ্যগুলিকে তার নাগালের মধ্যে রাখে।

সোভিয়েত প্রতিক্রিয়া এবং বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ

সোভিয়েত ইউনিয়ন এই উন্নয়নের সাথে সাথে সাড়া দিয়েছে, সতর্কতা জারি করেছে এবং বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃহত্তর স্নায়ুযুদ্ধের গতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ায় বিশ্ব সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

সতর্কতার জন্য একটি আহ্বান

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের পৃষ্ঠ সম্পর্কে উদ্ঘাটন হিসাবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক চেসবোর্ড বিকশিত হচ্ছে এবং ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতার প্রভাব আঞ্চলিক সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। শক্তির গতিশীলতার ভারসাম্য বজায় রাখা, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য সতর্ক বিবেচনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী বছরগুলো নিঃসন্দেহে ইসরায়েলের পরমাণু অভিযান এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর তাদের প্রভাবের ক্রমাগত যাচাই-বাছাইয়ের সাক্ষী হবে।

আরব দ্বিধা: চ্যালেঞ্জের সাগরে নেভিগেট করা

দুই দশক আগে, পদত্যাগ করা এবং ক্লান্ত গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল। আরব অধিকার অনুসারে, অস্ত্রগুলি নীরব হওয়া উচিত, লক্ষ্য ‘আরও হারানোর আগে যা সংরক্ষণ করা যায় তা সংরক্ষণ করা।’ রাজা হুসেন ১৯ [বি] সংকটের পরে উদ্বোধনী আরব সম্মেলনে এই অনুভূতিটি প্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে, আরব দেশপ্রেমিক ফ্রন্ট নিজেকে বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত খুঁজে পায়, চ্যালেঞ্জের জন্য একটি দৃঢ় বৈজ্ঞানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। প্রতিপক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব অসম থেকে যায়, আরব মুক্তি আন্দোলনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মূলে একটি দুর্দশা। এর বুর্জোয়া নেতৃত্ব বিচ্ছিন্নতার দিকে ঝুঁকে পড়ে, সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়ে, বিশেষ করে সত্তর ও আশির দশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে।

এই দৃশ্য আরব মুক্তি আন্দোলন এবং দেশপ্রেমিক প্রতিক্রিয়াকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানে রাখে। প্রতিক্রিয়াশীল আরব শাসনব্যবস্থার যৌক্তিক এবং বোধগম্য প্রতিক্রিয়া "ইসরায়েল" দ্বারা উত্থাপিত ঘোষিত চ্যালেঞ্জ থেকে উদ্ভূত হয়, যা পারমাণবিক অস্ত্রের উপর তার নিয়ন্ত্রণ এবং জেরিকো 11-এর বিকাশের মাধ্যমে, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের উপর তার সত্যিকারের জোট এবং নির্ভরতা প্রকাশ করে। শাসনব্যবস্থাগুলি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে তাদের সম্পর্কের পুনর্বিবেচনা করা অসম্ভব বলে মনে করে, কারণ সামাজিক কাঠামো, স্বার্থ এবং নির্ভরতা, বিশেষ করে গত দুই দশকের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পরে, কোনো সংশোধনের বিরোধিতা করে। ফলস্বরূপ, সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতিতে তাদের একীভূতকরণ তাদের সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে যায়।

1979 সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা, সাদাত এবং কার্টারের মতো, 1967 সালে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সময়ে তাদের অনুভূতিগুলি পশ্চিমের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির পক্ষে, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজনকে প্রতিফলিত করেছিল। যাইহোক, দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তন ঘটমান হুমকিকে এড়াতে পারেনি, যেমনটি মেনাচিম বেগিন প্রকাশ করেছিলেন, যিনি সাদাতের জেরুজালেম সফরের পিছনে লুকানো এজেন্ডা উন্মোচন করেছিলেন - একটি পারমাণবিক বিপর্যয় এড়ানোর প্রচেষ্টা। এক দশক দ্রুত এগিয়ে চলেছে, এবং সরকারী আরব বিবৃতিগুলি ভয় এবং পদত্যাগের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে চলেছে, তাদের "ইসরায়েল" প্রযুক্তিগত এবং সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য দায়ী করে।

আরব শাসনব্যবস্থাগুলো এখন নিজেদেরকে নতুন দায়িত্বে ভারাক্রান্ত মনে করছে, এবং একমাত্র সমাধান হচ্ছে ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে প্রতিহত করা, প্রত্যাবর্তন ও মুক্তি চাওয়া। এই গুরুতর হুমকি দূর করার জন্য শুধুমাত্র নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জনগণের উপর নির্ভর করে, তাদের শক্তিকে কাজে লাগানোর এবং সমাজতান্ত্রিক শিবির এবং সমস্ত প্রগতিশীল শক্তির সাথে গভীর জোট করার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে।