🇵🇸 ফিলিস্তিনে কিবুতজিমের সামরিক কার্যক্রম

মাহমুদ সাঈদ দ্বারা

"সমাজতান্ত্রিক কমিউন", "গণতান্ত্রিক," "প্রগতিশীল" এবং "ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছাড়া প্রতিষ্ঠান" এর মতো শর্তাবলী দিয়ে ইহুদিবাদী চিন্তাধারার প্রভাবে পশ্চিম ইউরোপের প্রগতিশীল আন্দোলনেও কিবুটজকে গৌরবান্বিত করা হয়েছে।

এই মহিমা শত শত বই এবং মনোগ্রাফ পাওয়া যাবে. যাইহোক, বাস্তবে, কিবুতজকে উপনিবেশ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ইহুদিবাদীদের হাতে একটি সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আদর্শিক হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।

19 শতকের শেষের দিকে ইহুদি বুর্জোয়াদের একটি ঔপনিবেশিক আন্দোলন হিসাবে জায়নবাদের জন্ম, পুঁজিবাদ থেকে সাম্রাজ্যবাদে উত্তরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সাম্রাজ্যবাদী কৌশলের মধ্যে ইহুদিবাদী আন্দোলনের কাজগুলিকে কেবল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেনি বরং এটির সমগ্র বিকাশ এবং গঠনকেও রূপ দিয়েছে। ফাংশন

ফিলিস্তিনে প্রথম জায়নবাদী অভিবাসনের ব্যর্থতা (1882-1905), এবং স্থায়ী বসতি স্থাপনে সংশ্লিষ্ট অক্ষমতা, ইহুদিবাদীদের প্যালেস্টাইনের উপনিবেশ স্থাপনের জন্য নতুন পদ্ধতির বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। 40,000 থেকে 1906 সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে আসা পূর্ব ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত প্রায় 1914 অভিবাসীরা রাশিয়ান ক্ষুদ্র বুর্জোয়া এবং সমাজতান্ত্রিক ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তারা ইহুদিবাদী ছদ্ম-সমাজতন্ত্রের জন্য দায়ী, এর সবচেয়ে সুপরিচিত নেতারা হলেন ডেভিড বেন-গুরিওন এবং গোল্ডা মেয়ার, যারা কিবুতজ আন্দোলনের আদর্শ ধারক।

ইহুদিবাদী "সমাজতন্ত্র" 1897 সালেও আবির্ভূত হয়েছিল, যা জায়নবাদী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠার বছর। এর লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনকারীদের একটি "শ্রমিক শ্রেণীতে" রূপ দেওয়া। জায়নবাদী ছদ্ম-সমাজবাদীরা, "অনুশীলনকারী" বা শ্রমিকদের দল হিসাবেও পরিচিত, 1905 সালে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হওয়ার পরে, তারা ইহুদিবাদী আন্দোলনের মধ্যে নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং প্যালেস্টাইনের উপনিবেশের জন্য নতুন পদ্ধতি তৈরি করে। এই নীতির লক্ষ্য ছিল "ভূমিতে তথ্য" তৈরি করা এবং "সমাজতান্ত্রিক অগ্রগামী বন্দোবস্ত" আকারে বাস্তবায়ন করা হবে। "ভূমি জয়" ছাড়াও "শ্রমের বিজয়", অর্থাৎ, "ইহুদি শ্রম" এর উপর ভিত্তি করে একটি "ইহুদি অর্থনীতি" নির্মাণ করা হয়েছিল।

অ্যারন ডেভিড গর্ডন (1856-1922), একজন জায়নবাদী চিন্তাবিদ, "শ্রমের ধর্ম" নিয়ে কথা বলেছিলেন, "কৃষি কাজে ফিরে আসার" মধ্যে "ইহুদি জনগণের" মুক্তি দেখে। তিনি শারীরিক শ্রমের বৈপ্লবিক প্রভাব এবং একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনে "ইহুদি শ্রমিক শ্রেণীর প্রচেষ্টা" এর উপর জোর দেন। জায়নবাদী যুব সংগঠন, যেমন হাপোয়েল হাজাইর (দ্য ইয়াং ওয়ার্কার, 1905 সালে প্রতিষ্ঠিত), তার পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জায়নবাদী শ্রমিক দলগুলিও তার এবং বেন বোরোচোর (1881-1917) তত্ত্বের উপর নির্ভর করেছিল।

যুব সংগঠনগুলি স্লোগানের অধীনে কিবুটজের জন্য পূর্ব ইউরোপ থেকে অভিবাসীদের নিয়োগ শুরু করে:

“রক্ত ও আগুনে জুডিয়া পড়ে গেল
রক্তে ও আগুনে তা আবার জেগে উঠবে।"

এই স্লোগান আজও কিবুতজিমে উচ্চারিত হয়। কিবুটজ দ্বারা সমর্থিত, শ্রমিক দলগুলি উপনিবেশে ইহুদিবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় এবং 1977 সালে লিকুদ ব্লক ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকে।

এডমন্ড ডি রথসচাইল্ড (1845-1934) এবং মরিৎজ হির্শ (1831-1896) এর মতো ইহুদি ব্যাংকারদের দ্বারা বন্দোবস্ত প্রকল্পের সমর্থন ছাড়াও, ইহুদি ঔপনিবেশিক ব্যাংক (ইহুদি ঔপনিবেশিক ট্রাস্ট, 1899) সহ অর্থায়নের জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। , ইহুদি জাতীয় তহবিল (কেরেন কারনেট, 1901), এবং প্যালেস্টাইন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (চেওরাট হাছচারাত হাজিশুউ, 1908)।

কিবুতজ আন্দোলন, ইহুদিবাদী ঔপনিবেশিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে, একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। 1908 সালে, তথাকথিত 'প্যালেস্টাইন অফিস' জাফাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন আর্থার রুপিন (1876-1943)। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল কৃষি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অর্থনৈতিক ও বন্দোবস্তের ফর্ম পরীক্ষা করা। 1910 সালে, রুপিন একদল শ্রমিককে সংগঠিত করেছিলেন যারা ফিলিস্তিনি গ্রামের উম্ম ডিচুনির দখলকৃত জমিতে 'দেগানিয়া' (ঈশ্বরের শস্য) নামে এই ধরণের প্রথম কিবুটজ তৈরি করেছিলেন। চার বছর পরে, ইতিমধ্যে 11টি কিবুতজিম ছিল এবং 1918 সাল নাগাদ সংখ্যাটি 29-এ পৌঁছেছিল।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, কিবুতজিমকে বড় ও প্রসারিত করা হয় এবং কিবুতজিম নামকরণ করা হয়। এই ধরণের প্রথম কিবুতজ ছিলেন মারদশ ইবনে আমের (জেসরেল সমভূমি) এন হারোদ। 1936-1939 সালের ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের সময়, সামরিক কারণে অসংখ্য বসতি স্থাপন করা হয়েছিল বলে কিবুতজ আন্দোলনের কার্যক্রম শীর্ষে উঠেছিল। 291 সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে প্রতিষ্ঠিত 1948টি জায়নবাদী বসতির মধ্যে 149টি ছিল কিবুতজিম।

1948 থেকে 1949 সালের মধ্যে, 175টি কিবুতজিম সহ 79টি নতুন বসতি স্থাপন করা হয়েছিল।

আজ, সমগ্র ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে 232 সদস্য এবং মোট 61,000 জন বসতি স্থাপনকারী সহ 105,700 কিবুতজিম রয়েছে। তারা ইসরায়েলের জনসংখ্যার 3% গঠন করে। কিবুটজিমের গতিশীলতা বোঝার জন্য, প্রথমে কিছু মানদণ্ডের রূপরেখা প্রয়োজন যার ভিত্তিতে একটি কিবুটজ প্রতিষ্ঠিত বা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মানদণ্ড নিম্নরূপ:

সাইটের কৌশলগত বা সামরিক অবস্থান: এই ফ্যাক্টরটি একটি কিবুটজ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারক। বেশিরভাগ কিবুতজিম উঁচু ভূখণ্ডে অবস্থিত যাতে আশেপাশের আরব গ্রাম এবং শহরগুলিকে কৌশলগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, প্রয়োজনে আক্রমণ চালাতে সক্ষম করে। একই সাথে, এই অবস্থানটি প্রতিরোধমূলক কর্মের সময় তাদের নিজস্ব "প্রতিরক্ষা" এর জন্য কাজ করে।

1948 সালে পালমাচের সামরিক প্রধান এবং পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইগাল অ্যালন কিবুটজের ভূমিকা বর্ণনা করেছেন এভাবে: “জায়নিস্ট অগ্রগামী বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ও বিকাশ শুরু থেকেই অন্তত আংশিকভাবে রাজনৈতিক-কৌশলগত দ্বারা নির্ধারিত ছিল। চাহিদা. বন্দোবস্তের জন্য অবস্থানের পছন্দ, উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লাভজনকতা দ্বারা নয়, এবং এমনকি নির্ধারকভাবে, স্থানীয় প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দ্বারা, ব্যাপক বন্দোবস্ত কৌশল (সারা দেশে ইহুদিদের রাজনৈতিক উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে) এবং এই ধরনের বন্দোবস্তের ব্লকগুলি ভবিষ্যতে যে ভূমিকা পালন করবে - সম্ভবত আমাদের সমগ্র সংগ্রামের জন্য নির্ধারক। সে অনুযায়ী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জমি কেনা বা দাবি করা হয়। জনবসতি - সাধারণ গ্রাম, কিবুতজিম বা মোশাভিম - ফলস্বরূপ ভৌগোলিক দূরত্ব, ভূ-সংস্থানগত বাধা, জনসংখ্যাগত পার্থক্য দ্বারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ম্যান্ডেট সরকার দ্বারা সৃষ্ট রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করার মতো নয়। অতএব, প্রতিটি ইহুদি বসতিকে একই সাথে হাগানাহ দুর্গ হতে হবে।”

কিবুতজিম এই রাস্তাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং একটি ইহুদিবাদী যুদ্ধের ক্ষেত্রে আরব গ্রাম বা শহরগুলিকে আলাদা করার জন্য প্রধান রাস্তার পাশে প্রতিষ্ঠিত এবং অবস্থিত। এইভাবে, 1948 সালের আগ্রাসন যুদ্ধের সময় কিবুতজিম তাদের কাজটি সম্পন্ন করেছিল - সমস্ত আরব শহর একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিবুতজিম ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, জর্দান, এবং মিশর ইহুদিবাদী যুদ্ধের ক্ষেত্রে।

এর সামরিক ফাংশন পূরণ করতে, সমস্ত কিবুতজিম এক ধরণের নেটওয়ার্কে সাজানো হয়। এই ব্লক বা নেটওয়ার্কগুলি সামরিক-কৌশলগত বিবেচনার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় এবং 3 থেকে 5টি কিবুটজিম নিয়ে গঠিত, প্রতিটি একটি কৌশলগত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। কিবুটজ নেটওয়ার্কগুলি আন্তঃসংযুক্ত এবং সামরিক ব্রিগেডের মতো কাজ করে। সাধারণত একটি 'প্রধান কিবুটজ' থাকে যা সাধারণত প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে লেবানন সীমান্তের হার ব্লক, যার মধ্যে 4টি কিবুতজিম রয়েছে, যার মধ্যে 'হার' বৃহত্তম এবং অন্যান্য কিবুতজিম 'ইলন,' 'মাতজুবা' এবং 'ইয়েহেন' এর উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। একইভাবে, মারদচের হারোদ ব্লক। ইবনে আমের (জেজরিল উপত্যকা), হেব্রনের উত্তরে কেফার ইতজিয়ন ব্লক এবং নেগেভের মিসমার হানেগেভ ব্লক গঠিত।

কিবুতজিম তাদের সম্প্রসারণ রোধ করার জন্য মৌলিকভাবে আরব গ্রাম ও শহরের চারপাশে বসতি স্থাপন করে। বসতিগুলির এই বেল্টটি কেবল দেশের অভ্যন্তরে নয়, সিরিয়া, লেবাননের সাথে ফিলিস্তিনের সীমান্তেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিশর, এবং জর্দান, আংশিকভাবে এমনকি ইহুদিবাদী সত্তা প্রতিষ্ঠার আগে. এগুলি সামরিক দুর্গ যা একত্রিত হলে একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর তৈরি করে এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে সীমানা চিহ্নিত করে। ইহুদিবাদীরা নিজেরাই এই সীমান্ত কিবুতজিমকে প্রতিরক্ষা গ্রাম বলে উল্লেখ করে।

কিবুতজিম যখনই সম্ভব উর্বর জমিতে নির্মিত হয়। প্রাথমিক কিবুতজিম মারদচ ইবনে আমের এবং ফিলিস্তিনি উপকূলে অবস্থিত ছিল। ব্রিটিশ ম্যান্ডেট যুগে ফিলিস্তিনি অর্থনীতির 80% এরও বেশি ছিল কৃষি। কিবুতজিমের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করা।

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় কিবুটজের ভূমিকা

গত শতাব্দীর শেষের দিকে ইহুদিবাদী আন্দোলনের উত্থানের পর থেকে, জায়নবাদীরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বহিষ্কার করার এবং সহিংসতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে জয় করার পরিকল্পনা করেছিল: “প্যালেস্টাইনে ইতিমধ্যেই এর বাসিন্দা রয়েছে… অতএব, আমাদের আদিবাসী উপজাতিদের তাড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হবে হয় তলোয়ার দিয়ে, যেমনটি আমাদের পূর্বপুরুষেরা করেছেন... উদাহরণস্বরূপ, আমরা যদি বন্য প্রাণীদের একটি ভূমি পরিষ্কার করি, আমরা পঞ্চম শতাব্দীর ইউরোপীয়দের পদ্ধতিতে তা করব না। আমরা পৃথকভাবে ভাল্লুকের বিরুদ্ধে বর্শা ও লান্স নিয়ে বের হব না তবে একটি বিশাল, আনন্দদায়ক শিকারের আয়োজন করব, জন্তুদের একসাথে তাড়িয়ে দেব এবং তাদের দিকে মেলিনাইট বোমা নিক্ষেপ করব”। ইহুদিবাদের এই সন্ত্রাসী নীতি কিবুতজে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির প্রতিষ্ঠার মধ্যে উপলব্ধি করা হয়েছে, যাদের সদস্যরা একই সাথে এই সংগঠনগুলির সদস্য ছিল।

পোয়াল জিওনের বেন গুরিওন এবং বেন জাভেই কিবুতজে ‘হাশোমার’ (অভিভাবক) নামে প্রথম ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার কাজ ছিল আরব প্রতিরোধের বিরুদ্ধে কিবুতজিম এবং অন্যান্য ইহুদিবাদী বসতিকে "রক্ষা" করা। 1920-এর দশকের মাঝামাঝি, ইংল্যান্ডের সহায়তায়, ইলিয়াহু গোলম্ব একটি কিবুতজের মধ্যেও সন্ত্রাসী সংগঠন ‘হাগানা’ (প্রতিরক্ষা) গঠন করেন। 'হাগানা'কে শুধুমাত্র ইহুদিবাদী বসতি রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বরং ফিলিস্তিনিদেরকে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। 1930-এর দশকে, মেনাচিম বেগিনের নেতৃত্বে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী 'ইরগুন' 'হাগানা' থেকে বিভক্ত হয়ে যায়। 'হাগানা' এবং কিবুতজিমের বিকাশ বহু বছর ধরে যৌথভাবে চলতে থাকে, তাদের প্রায় অবিচ্ছেদ্য এবং অভিন্ন করে তোলে।

1936-39 সালের ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের সময়, ব্রিটিশ অফিসার চার্লস ও. উইনগেট প্রতিরোধ দমন করার জন্য বিশেষ সামরিক ইউনিট সংগঠিত করেছিলেন। স্পেশাল নাইট স্কোয়াড (এসএনএস) নামে পরিচিত এই ইউনিটগুলি কিবুটজ সদস্য এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের সহ অভিজাত যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত ছিল। গেরিলা বিরোধী যুদ্ধের জন্য 'হাগানার' একটি বিশেষ ইউনিট FOSH (ফিল্ড ট্রুপস) এর পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে একত্রে তারা ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। 1939 সালে, SNS আরব "সন্দেহবাদীদের" নির্মূল করার জন্য আরব গ্রামে অভিযান চালায়।

SNS এবং FOSH উভয়ই কিবুতজিমে অবস্থান করেছিল। 1941 সালে, ইংল্যান্ডের সমর্থনে, উভয় সংস্থাই পালমাচ (স্ট্রাইক ফোর্স) প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে SNS এবং FOSH মূল গঠন করে। কিবুতজিমেও পালমাচের ঘাঁটি ছিল এবং এর নেতারা, প্রশিক্ষিত কিবুটজনিকদের মধ্যে ছিলেন মোশে দায়ান, ইগাল অ্যালন, চেইম বার-লেভ, ইজহাক রাবিন (ইসরায়েলের বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী), এবং ইসরায়েল গ্যালিলি, যিনি পরে উপদেষ্টা হন। গোল্ডা মীরের কাছে। ইসরায়েলের সম্প্রসারণ যুদ্ধে সমস্ত পালমাচ নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পালমাচ উইনগেটের ধারণাগুলিকে মূর্ত করে এবং ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের প্রথম পেশাদার সামরিক ইউনিটের প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

ফিলিস্তিনের ঔপনিবেশিকতা এবং ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নে কিবুতজের ভূমিকা

প্যালেস্টাইনের বিজয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসীদের বিতাড়ন এবং ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিবাদী সত্তার প্রতিষ্ঠা কেবলমাত্র ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের সামরিক শক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনের মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে। ইহুদিবাদী বিবৃতি অনুসারে, তিনটি কারণ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল: কিবুতজিম, হিস্তাদ্রুত এবং হাগানা।

ইহুদিবাদী ঔপনিবেশিকতা ধ্রুপদী উপনিবেশবাদ থেকে পৃথক, কারণ এটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে দাসত্ব, বহিষ্কার বা পরিত্যাগ করার লক্ষ্য রাখে। ফিলিস্তিনে জায়নবাদী বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিকতাকে উপলব্ধি করার জন্য, বিভিন্ন বন্দোবস্তের ফর্ম তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে কিবুতজ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিবুটজ শুধুমাত্র হাগানা এবং পালমাচের জন্য একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে কাজ করেনি, অভিজাত সামরিক ইউনিট তৈরি করেছে, তবে অতিরিক্ত বসতি স্থাপন এবং বন্দোবস্তের অন্যান্য রূপের বিকাশের কাজও ছিল:

প্রতিটি কিবুটজের দায়িত্ব ছিল সামরিক-কৌশলগত কাজের কাঠামোর মধ্যে অতিরিক্ত কিবুটজিম খুঁজে বের করার, প্রথমটি একটি সম্পূর্ণ ব্লকের কেন্দ্র গঠন করে। কিবুটজনিক ডভ বেন-মেইর লিখেছেন, “এটি আমাদের জন্য একটি নিয়ম: একটি কিবুটজে দল গঠন করা হয় যা জমি পরিচালনার ক্ষেত্রে কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তারপর, কিছু সময় পরে - একত্রীকরণের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে, যখন সুযোগ আসে, এই দলের একটি অংশ একটি নতুন কিবুটজ গঠন করতে পারে, যেখানে শুরু থেকে সবকিছু তৈরি করা দরকার এবং জমিগুলিকে নতুন করে চাষ করা দরকার।"

1921 সালের নভেম্বরে, কিবুতজ দেগানিয়ার সদস্যরা হাইফা এবং নাজারেথের মধ্যে নাহালাল নামে প্রথম মোশাভ (সমবায়) প্রতিষ্ঠা করেন। মোশাভোট (একবচন মোশাভা) এবং মোশাভিম হল ইউরোপীয়-শৈলীর গ্রাম যা প্রায়শই শহরে পরিণত হয় (যেমন, পেটাহ টিকওয়া, রিশোন লে-জিওন)।

তথাকথিত 'টাওয়ার অ্যান্ড ওয়াল' আন্দোলন (চোমা উ-মিগডাল) 1936-1939 সালের ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের সময় কিবুতজ আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র কিবুটজ সদস্যরা রাতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এক ধরনের দুর্গ স্থাপন করেছিল, যার মধ্যে একটি ওয়াচ টাওয়ার এবং একটি বেড়া ছিল। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল ফিলিস্তিনের ঘনবসতিপূর্ণ আরব এলাকায়, বিশেষ করে 1936-1939 সালে কিবুতজিম প্রতিষ্ঠা করা। টাওয়ার এবং ওয়াল আন্দোলনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি কিবুটজের একটি ক্লাসিক উদাহরণ হল ফিলিস্তিন-লেবানিজ সীমান্তে কিবুতজ 'হার', উপকূলীয় রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে।

1938 সালের ফেব্রুয়ারিতে, জায়নবাদী নেতারা কৌশলগত-সামরিক কারণে ঘনবসতিপূর্ণ আরব পশ্চিম গ্যালিলে একটি কিবুতজ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন। ডেভিড বেন-গুরিয়ন, মোশে শেরেট এবং চেইম ওয়েইজম্যান এই প্রকল্পের জন্য আর্থিক উপায়গুলি সুরক্ষিত করেছিলেন। 21 জন নির্বাচিত বসতি স্থাপনকারীকে হাইফার কাছে কিবুতজ কিরিয়াত হাইমে স্থান দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের নিবিড় সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রশিক্ষণের পরে, তারা ওয়েজম্যানের কাছ থেকে একটি টেলিগ্রাম পেয়েছিল: "হারে যাও, খরচ যাই হোক না কেন!" 1938 সালের 90 মার্চ রাতে, ট্রাকের একটি কনভয় ভবিষ্যতের কিবুতজ 'হার' পাহাড়ে পৌঁছেছিল; একটি টাওয়ার এবং একটি বেড়া তৈরি এবং তাঁবু স্থাপন করার পরে XNUMX জন জঙ্গি এবং সুসজ্জিত লোক পাহাড়ে অবস্থান করেছিল। প্রথম কাজ, দুর্গ প্রতিষ্ঠা, সম্পন্ন হয়েছিল। পরবর্তীকালে, নির্মাণ কোম্পানী সোলেল-বোনেহ (একটি হিস্টাড্রুট কোম্পানী) এসে আল-বাসার আরব গ্রাম থেকে নব প্রতিষ্ঠিত কিবুতজ হার পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণ শুরু করে।

হার হল 1948 সালের আগে কিবুটজদের ভূমিকার একটি উদাহরণ। 1937 সালে, ইংল্যান্ড দ্বারা নিযুক্ত 'পিল কমিশন' ভূমি বিভাজনের সুপারিশ করেছিল, পশ্চিম গ্যালিলি আরব ভূখণ্ডের অংশ ছিল। যাইহোক, ইহুদিবাদীরা হার প্রতিষ্ঠা করে, পিলের সুপারিশকে অবমূল্যায়ন করে একটি ফ্যাট কমপ্লি তৈরি করতে চেয়েছিল। একই সময়ে, হার উপকূল বরাবর লেবাননের রুট নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইহুদিবাদী বসতি প্রতিহত করার জন্য সিরিয়া ও লেবানন থেকে ফিলিস্তিনে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের তরল করার কাজ ছিল। হারও ছিল হাগানাহ-এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি—হারের সমস্ত সদস্য একই সাথে হাগানাহ সদস্য ছিল। কিবুতজ হারের 400 জন সদস্যের মধ্যে একশো দশজন যারা হাগানাহকে সংগঠিত করেছিলেন, তারা ইইটজাক সাদেহ, ইগাল অ্যালোন এবং মোশে দায়ানের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল - পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ডার হয়েছিলেন - হাগানার বিশেষ ইউনিট। হারের সদস্যরাও ফিলিস্তিনের বাইরে হাগানাহর জন্য ভূমিকা পালন করেছিল; একজন হার সদস্য সক্রিয়ভাবে ইরাকের হাগানার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে, অন্যরা লেবানন ও সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনা করেছে। হার শুধু হাগানাহ দুর্গই নয়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি সামরিক ক্যাম্পও ছিল। উইনগেট হারে তার প্রথম উল্লেখিত বিশেষ নাইট স্কোয়াড (এসএনএস) গঠন করেন। SNS 18 জন ব্রিটিশ সৈন্য এবং 24 জন বসতি স্থাপনকারী নিয়ে গঠিত যারা হাগানাহ বা হার সদস্য ছিল। ব্রিটিশ সহায়তায়, 1941 সালে হারে অস্ত্র উৎপাদন শুরু হয়।

1948 সালের যুদ্ধে, কিবুতজ হার আশেপাশের আরব গ্রাম আক্রমণ করে এবং তাদের ধ্বংস করে। আজও, হার ইজরায়েলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামরিক ভূমিকা পালন করে। 'টাওয়ার এবং ওয়াল' আন্দোলনের গুরুত্বের আরেকটি উদাহরণ হল কিবুতজ হানিতা, লেবাননের সীমান্তে একটি ঘনবসতিপূর্ণ আরব এলাকায় অবস্থিত; পরে এটি পালমাচের সমাবেশস্থলে পরিণত হয়।

1948 সালের আগ্রাসন যুদ্ধের সময়, কিবুটজ আন্দোলনও নাহাল ইউনিটগুলিকে গড়ে তুলেছিল। নাহাল (যুব অগ্রগামী) হল সামরিক ইউনিট যা মূলত সেনাবাহিনীর জন্য নতুন বসতি, বিশেষ করে কিবুতজিম প্রতিষ্ঠার কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা গঠিত। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, বিশেষ করে এর সীমানা বরাবর নাহাল বসতিগুলির বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। 1950-এর দশকে, লেবানন সীমান্তে অনেক নাহাল বসতি স্থাপন করা হয়েছিল। 1963 সালে, ইহুদি জাতীয় তহবিল (কেরেন কায়েমেথ) সিরিয়া-লেবানিজ সীমান্তে 18টি নাহাল বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরে, গ্যালিলের জায়নীকরণের অংশ হিসাবে, ইসরায়েল 40টি নাহাল বসতি নির্মাণ শুরু করে। নাহালের কার্যক্রম কিববুৎজ আন্দোলন দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

নাহালও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যতম অভিজাত ইউনিট। “সাধারণত, নাহাল সদস্যরা প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক যুব আন্দোলনে যোগ দেয়, তারপরে সেনাবাহিনীতে ছয় মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয় এবং পরবর্তীতে দুই বা তিন বছর ধরে কিববুতে সৈনিক হিসাবে কাজ করে। পরে, তাদের মধ্যে অনেকেই চলে যায় এবং একটি নতুন কিবুটজ প্রতিষ্ঠা করে।"

ফিলিস্তিনে একটি "ইহুদি রাষ্ট্র" এর জায়নবাদী দৃষ্টিভঙ্গি 1910 সাল থেকে কিবুতজিমের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গতিশীল হয়েছিল। ইহুদিবাদীদের ফিলিস্তিনে একটি 'মাতৃভূমি' সক্ষম করার জন্য 2 নভেম্বর, 1917 সালের বেলফোর ঘোষণায় প্রদত্ত ব্রিটিশ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সাথে সাথে, এটি 1920 সালে শুরু হয়েছিল - ফিলিস্তিনের উপর ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের বছর। ব্রিটিশরা ম্যান্ডেট সংবিধানে ফিলিস্তিনিদের উপর জায়নবাদীদের বিশেষ অধিকার প্রদান করে। 1921 সালে, XII জায়নবাদী কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে "'ইরেজ ইসরায়েল'-এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ইহুদিবাদী সংস্থাগুলির সবচেয়ে জরুরি কাজ," অর্থাৎ, শিল্প নির্মাণ, কৃষি বসতির তীব্রতা - বিশেষ করে কিবুতজিমের সাহায্যে - এবং ব্যাংক প্রতিষ্ঠা জোরদারভাবে প্রচার করতে হবে।

1895 সালে, ফিলিস্তিনে 453,000 ফিলিস্তিনি (90.6%) এবং 47,000 ইহুদি (9.4%) ছিল; জমির মালিকানা ছিল 99.5% আরব এবং 0.5% ইহুদি। 1924 থেকে 1931 সাল পর্যন্ত, অতিরিক্ত 82,000 জায়নবাদী ফিলিস্তিনে অভিবাসিত হয়েছিল। 1932 থেকে 1938 সাল পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের উত্থানের সাথে সাথে আরও 217,000 ইহুদি অভিবাসী প্যালেস্টাইনে আসে। নাৎসি জার্মানির সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের সাথে ইহুদিবাদী জোট আরও দৃঢ় হয়। লক্ষ্য ছিল ইহুদিদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো নয় বরং ধনী ইহুদিদের প্যালেস্টাইনে নিয়ে আসা।

1932 থেকে 1939 সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা 1933 সালের জুন মাসে হাভারা চুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল। পরবর্তী ছয় বছরে, অন্তত 315,000 মিলিয়ন ডলার ফিলিস্তিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ইহুদিবাদী বসতি স্থাপন এবং অভিবাসন ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনিদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি কৃষক তাদের জমি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল, যদিও প্রতিরোধ ছাড়াই নয় (যেমন, 1920 এর দশকের প্রথম দিকে মারজ ইবনে আমেরে কিবুতজিম প্রতিষ্ঠার সময়)। 1930 সালে, 65.9% ফিলিস্তিনি কৃষকদের জমির মালিকানা ছিল, যখন 29.4% ছিল সামন্ত প্রভুদের জমিতে শ্রমিক, যারা উর্বর জমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দখল করেছিল। এই বৃহৎ জমির মালিকরা ছিল ফিলিস্তিনি, লেবানিজ বা সিরিয়ান, প্রধানত দামেস্ক এবং বৈরুতে বসবাস করত।

ত্রিশের দশকের গোড়ার দিকে 'শ্রমের জয়' নীতি, কিবুতজ আন্দোলন এবং ইংল্যান্ডের জায়োনিস্টপন্থী অবস্থানের কারণে শ্রমিকদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। ফিলিস্তিনি অস্তিত্বের জন্য হুমকি এবং ইহুদিবাদী উপনিবেশের শক্তিবৃদ্ধি হল 1936-1939 সালের ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের ট্রিগার, যাতে বাস্তুচ্যুত কৃষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও ফিলিস্তিনিরা প্রাথমিকভাবে তাদের ভূমির প্রায় 80% মুক্ত করতে এবং পরিচালনা করতে সফল হয়েছিল, এই বিদ্রোহ সমগ্র ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এক তৃতীয়াংশ, ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর ব্যবহার এবং ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির দ্বারা ব্যাপক আক্রমণে চূর্ণ হয়েছিল। সৌদি আরব, ইরাক ও ট্রান্সের রাজতন্ত্রের বিশ্বাসঘাতক ভূমিকাজর্দান, পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সামন্ত-বুর্জোয়া নেতৃত্বও বিদ্রোহের ব্যর্থতায় অবদান রেখেছিল। 1939 সালে, বিদ্রোহ চূর্ণ হয়, যার ফলে 19,000 জন মারা যায় এবং আহত হয়। এই বছরটি ইহুদিবাদী উপনিবেশের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ইহুদিবাদী এজেন্সি সরকার, পৌরসভার স্ব-প্রশাসন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবকাঠামো এবং জনবসতিতে সংগঠিত দলগুলির সাথে একটি রাষ্ট্রের মধ্যে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে ইহুদিবাদী আন্দোলন সফল হয়েছিল। হাগানাহ কিবুতজিমে তার নিজস্ব সেনাবাহিনী হিসাবে কাজ করেছিল, 50,000 বসতি স্থাপনকারী সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল এবং বেশ কয়েকটি কিবুতজিম সুরক্ষিত ঘাঁটি হিসাবে কাজ করেছিল - অন্য কথায়, ইহুদিবাদী বসতিকারীরা ক্রমবর্ধমান আক্রমণে চলে গিয়েছিল।

1945 সালের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইংল্যান্ডের সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকা গ্রহণ করে এবং ইহুদিবাদ আরব অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ব্রিজহেড হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে। ফলস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদী প্রকল্পের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার ভূমিকা জায়নবাদী সংবাদপত্র 'হারেৎজ'-এ নিম্নরূপ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে: '... একটি নজরদারি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত যে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে ইউএসএ।' এর পর থেকে ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার জন্য আক্রমণ শুরু করে। ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন কিবুতজিম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - কিছু দিনের মধ্যে মোট 11টি বসতি তৈরি করা হয়েছিল, যেমন মিশমার হানেগেভ (নেগেভের অভিভাবক), যেটি শুধুমাত্র একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবেই কাজ করেনি বরং, ঘটনা ঘটলে প্যালেস্টাইন বিভাগ, নেগেভ দখল করার কাজটি গ্রহণ করার কথা ছিল। সামরিক শক্তি দ্বারা ফিলিস্তিন বিজয়ের পরিকল্পনাকে ইহুদিবাদীরা প্ল্যান ডি হিসাবে উল্লেখ করেছিল। জায়নবাদী নেতা জোসেফ ওয়েটজ এই লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছিলেন: ‘এটি অবশ্যই পরিষ্কার হবে যে এই দেশে উভয় জাতির জন্য কোনও জায়গা নেই…। একমাত্র সমাধান হল একটি প্যালেস্টাইন ‘আরব ছাড়া… এবং এখান থেকে আরবদের প্রতিবেশী দেশে স্থানান্তর করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

ইহুদিবাদী সত্তা প্রতিষ্ঠার পরপরই পালমাচ, হাগানাহ এবং ইরগুনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গড়ে তোলা শুরু হয়। এটা লক্ষ্য করা যায় যে ইসরায়েলি জেনারেল স্টাফের 4/5 অফিসার কিবুতজ থেকে এবং 2/3 ট্রুপ অফিসাররা আসে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, কিবুতজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে রয়ে গেছে, যদিও এর ভূমিকা আংশিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে, কিবুটজদের প্রধান সামরিক ফাংশন ছিল; প্রতিষ্ঠার পর সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বেশিরভাগ কিবুতজিম এখন সীমান্তে পাওয়া যায় এবং প্রতিরক্ষা গ্রাম হিসাবে ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনা এবং সম্প্রসারণবাদী প্রচারণাকে সমর্থন করার কাজ রয়েছে। নৈতিক এবং আদর্শগত দিক থেকে, কিবুতজ ইহুদিবাদী দখলদারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হিসাবে রয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে কিবুটজ সদস্যদের গুণগত এবং পরিমাণগত অংশগ্রহণ কিবুটজের বর্তমান কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ডভ বেন-মেইর বলেছেন, 'নির্বাচিত এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক ইউনিটে কিবুটজের ছেলেদের স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্তি নিয়মিত।' 3 ফেব্রুয়ারী, 1984 সালের জায়নিস্ট সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরনোটের তথ্য অনুসারে, সমস্ত পাইলটের 22% বিমানে বাহিনী হল কিবুতজ সদস্য, এবং সেনাবাহিনীর পুরো অফিসার কোরে তাদের অংশ 27%। 1982 সালে বৈরুতে বোমা হামলা এবং সাবরা এবং শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার সময়, কিবুতজিম ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর 25% এবং অফিসার কর্পসের 30% প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

তাদের বর্ণবাদী মতাদর্শ এবং সামরিক প্রশিক্ষণের কারণে, কিবুটজ সদস্যদের বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। কিবুটজনিক একজন সাধারণ সৈনিক নয়; তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিজাত শ্রেণীর অন্তর্গত, যারা কিবুটজ থেকে 83% নিয়োগ করে। এই বিষয়ে ডভ বেন-মেইর: ‘সর্বাধিক, জনসংখ্যার তিন থেকে চার শতাংশ কিবুতজিমের অন্তর্গত; তারা আমাদের জনগণের অভিজাত গঠন করে। কিবুতজিমের সদস্যরা সেনাবাহিনীর সেরা সৈনিক, সেরা পাইলট। যুদ্ধে, কিবুতজিমরা বাকি জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি শতাংশ হতাহতের জন্য শোক প্রকাশ করে৷' এই অভিজাতরা তখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর 'সুপার-এলিট' সংখ্যাগরিষ্ঠ, যা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং দমনে বিশেষ দায়িত্ব পালন করে। ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ (যেমন, 1985 সালে তিউনিসে ফিলিস্তিনি অবস্থানে হামলা বা বোমা হামলা)। ডভ বেন-মেইর লিখেছেন, 'আজও একটি বৈধ নীতি রয়েছে: সামরিক কোর গ্রুপের সদস্য...

ইহুদিবাদী সত্তা প্রতিষ্ঠার পর পালমাচ, হাগানাহ এবং ইরগুন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে শুরু করে। এটা লক্ষ্য করা যায় যে ইসরায়েলি জেনারেল স্টাফের 4/5 অফিসার কিবুতজ থেকে এবং 2/3 ট্রুপ অফিসাররা আসে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, কিবুতজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে রয়ে গেছে, যদিও এর ভূমিকা আংশিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে, কিবুটজদের প্রধান সামরিক ফাংশন ছিল; প্রতিষ্ঠার পর সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

বিজয়ের আরও পরিকল্পনাগুলি 1945-1947 সালের মধ্যে 'A' থেকে 'C' উপাধির অধীনে বিশদ করা হয়েছিল। সামরিক পরিকল্পনা 'ডি', 1 এপ্রিল থেকে 15 মে, 1948 সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রধান ফিলিস্তিনি শহর যেমন হাইফা, জাফা এবং আক্কা জয় করার লক্ষ্যে, "টেল থেকে একটি 'নিরাপদ করিডোর' পরিষ্কার করার জন্য জনসংখ্যাকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে। আবিব থেকে আরবদের জেরুজালেম।" এই পরিকল্পনাটি গণহত্যা ও ধ্বংসের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছিল এবং ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে বিজয় যুদ্ধে কিবুতজদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পালমাচ, হাগানাহ এবং ইরগুনের মতো ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের মেরুদণ্ড গঠন করে, গ্যালিলিতে, জেরুজালেমের চারপাশে এবং কিবুতজিম থেকে নেগেভ মরুভূমিতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ধ্বংস নীতিটি কিবুটজনিক জেনারেল এলাজার এইভাবে বর্ণনা করেছিলেন: “একটি গ্রাম জয় করা হয়েছিল এবং কয়েক ডজন বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার পরে অবিলম্বে পরিত্যক্ত হয়েছিল। শত্রুরা এই গ্রামে ফিরে আসেনি..."

1948 সালে একজন কিবুটজনিক, পালমাচের নেতা এবং বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, ইইজহাক রাবিন, 1948 সালে প্যালেস্টাইন জয়ের ইহুদিবাদী লক্ষ্য বর্ণনা করেছিলেন: “কোনও কসরত না রেখে এবং সমস্ত বাসিন্দাকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে…, এমন কোনও গ্রাম থাকবে না যেখানে আরবরা ফিরে যেতে পারে। "

আনুমানিক 1,000 গ্রাম এবং শহরের মধ্যে, 478 টিরও বেশি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, জনসংখ্যার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছিল এবং ইস্রায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মোশে দায়ান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং কিবুটজনিক, 1969 সালে স্বীকার করেছিলেন: “আমরা আরব অধ্যুষিত এই দেশে এসেছি; পূর্ববর্তী আরবদের জায়গায় ইহুদি গ্রামগুলি তৈরি করা হয়েছিল…, এই ভূমিতে এমন একটি জায়গা নেই যেখানে আগে আরব জনসংখ্যা ছিল না।"

ধ্বংসপ্রাপ্ত আরব গ্রামগুলির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কিবুতজিমের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে আরব গ্রামের ধ্বংসাবশেষে কিবুতজ বেইট গেব্রিন, বেইট গেব্রিনের ধ্বংসাবশেষ, শাত্তার কিবুতজ বেইট হাশিতা, এইন গেদিতে কিবুতজ এন গেদি, কিববুতজ ইয়েবনা মালিকানাধীন, কিবুতজ ইয়েবনা। আল-মালিকিয়েহ ইত্যাদির উপর। আরব গ্রামগুলির ধ্বংসাবশেষের উপর প্রতিষ্ঠিত কিবুতজিমের অন্যান্য উদাহরণগুলি হল কুমিমের উপর কিবুতজ এইন হারোদ, উম এদ-দুফুফের কিবুতজ ডালিয়া, কোয়েকাতে কিবুতজ বেইট হামেক, আদ-তে কিবুতজ কেফার হামাকাবি। দামুন ইত্যাদি।

একটি "বৃহত্তর ইস্রায়েল" তৈরির জায়নবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, ইসরায়েল দখল করে নেয় ওয়েস্ট ব্যাংক, দ্য গাজা, গোলান উচ্চতা এবং 1967 সালের সম্প্রসারণ যুদ্ধের পরে সিনাই উপদ্বীপ। 1967 সাল থেকে ইসরায়েলের বন্দোবস্ত নীতির মধ্যে রয়েছে ভূমি বাজেয়াপ্ত করা, নতুন বসতি স্থাপন, নির্বাসন, সংযুক্তিকরণ এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের যে কোনো ধরনকে চূর্ণ করা। জেরুজালেম পোস্ট 31 মার্চ, 1980-এ এই নীতির সংক্ষিপ্তসার করেছিল, যাতে প্যালেস্টাইনকে একটি স্বায়ত্তশাসিত বা স্বাধীন অস্তিত্বের ভিত্তি হতে পারে এমন একটি সমন্বিত ভূখণ্ডে মিলিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য জমিকে অনেকগুলি ছোট বান্টুস্তানে বিভক্ত করার লক্ষ্য ছিল।

ইহুদিবাদী সত্তা প্রতিষ্ঠার পরপরই, পালমাচ, হাগানাহ এবং ইরগুন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে শুরু করে। এটা দেখা যায় যে ইসরায়েলি জেনারেল স্টাফের 4/5 অফিসার কিবুটজ থেকে আসে এবং 2/3 ট্রুপ অফিসার কিবুটজ থেকে আসে।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, কিবুতজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে থেকে যায়, যদিও এর ভূমিকা কিছুটা পরিবর্তিত হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আগে, কিবুটজের নেতৃত্বে সামরিক ফাংশন ছিল, কিন্তু রাষ্ট্রীয়তার পরে, সেনাবাহিনী তার ভূমিকা গ্রহণ করে। বেশিরভাগ কিবুতজিম এখন সীমান্তে পাওয়া যায় এবং প্রতিরক্ষা গ্রাম হিসাবে ইসরায়েলি যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং সম্প্রসারণবাদী প্রচারণাকে সমর্থন করার কাজ রয়েছে।

নৈতিকতা এবং আদর্শের দিক থেকে, কিবুতজ ইহুদিবাদী দখলদারদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সমর্থন হিসাবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে কিবুটজনিকদের গুণগত এবং পরিমাণগত অংশগ্রহণ কিবুটজদের বর্তমান ভূমিকা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ডভ বেন-মেরের মতে, নির্বাচিত এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক ইউনিটে কিবুটজ পুত্রদের স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্ত করা একটি সাধারণ বিষয়। 3 ফেব্রুয়ারী, 1984-এর ইয়েদিওথ আহরনোট পত্রিকার তথ্য অনুসারে, বিমান বাহিনীর সমস্ত পাইলটের 22% কিবুটজনিক এবং পুরো অফিসার কর্পসে তাদের অংশ 27%। 1982 সালে বৈরুতে বোমা হামলা এবং সাবরা এবং শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার সময়, কিবুতজিম ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর 25% এবং অফিসার কর্পসের 30% ছিল।

তাদের বর্ণবাদী মতাদর্শ এবং সামরিক প্রশিক্ষণের কারণে, কিবুটজনিকদের বিভিন্ন ক্ষমতায় মোতায়েন করা হয়। কিবুটজনিক একজন সাধারণ সৈনিক নন তবে তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিজাত শ্রেণীর অন্তর্গত, যাকে কিবুটজ থেকে 83% নিয়োগ করা হয়। ডভ বেন-মেইর উল্লেখ করেন, “সর্বোচ্চ জনসংখ্যার তিন থেকে চার শতাংশ কিবুতজিমের অন্তর্গত; তারা আমাদের জনগণের অভিজাত গঠন করে। কিবুতজিমের সদস্যরা সেনাবাহিনীর সেরা সৈনিক, সেরা পাইলট। যুদ্ধে, কিবুতজিমরা বাকি জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি হতাহতের অনুপাতে বিলাপ করে।"

এই এলিট থেকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ 'সুপার-এলিট' গঠিত, যা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ দমনে বিশেষ কাজ করে (যেমন, 1985 সালে তিউনিসে ফিলিস্তিনি অবস্থানে হামলা বা বোমা হামলা)। ডভ বেন-মেইর লিখেছেন, "এখনও একটি বৈধ নীতি রয়েছে: সামরিক কোর গ্রুপের একজন সদস্যকে অভিজাত ইউনিটের জন্য নতুন নিয়োগের জন্য যুব দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।"

1967 সালে ইসরায়েলের সম্প্রসারণ যুদ্ধে, 22% অফিসার এবং এই যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের 25% কিবুতজিম থেকে এসেছিল। কিবুটজ ব্যাকগ্রাউন্ডের সৈন্যরা সর্বদা ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে "শক ট্রুপস" হিসাবে কাজ করে। 16 সালে ইরাকি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে বোমা হামলাকারী F-1981 স্কোয়াড্রনও একটি কিবুটজ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।

1967 সাল থেকে, ইসরায়েল শুধুমাত্র বসতি স্থাপনের জন্য কাজ করছে না ওয়েস্ট ব্যাংক, গাজা, এবং সিরিয়ার গোলান হাইটস (যাকে ইহুদিবাদী ভাষায় মুক্ত অঞ্চল হিসাবে উল্লেখ করা হয়) তবে বৈষম্যের একটি ইচ্ছাকৃত নীতি বাস্তবায়ন করা এবং ফ্যাসিবাদী পদ্ধতির সাথে যে কোনও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের মোকাবিলা করা। কিবুটজ সদস্যরা প্রতিবাদ বা প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড দমন করার জন্য বিশেষভাবে দায়ী বিশেষ ইউনিট গঠন করে।

উদাহরণ হিসেবে, বিশেষ ইউনিট "মিশমার গফুল" (বর্ডার গার্ডস) উল্লেখ করা হয়েছে, যেটিকে বিশেষভাবে বিদ্রোহ দমনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। নীতি "লোহার মুষ্টি" মধ্যে ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা 1985 সাল থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ করার লক্ষ্য। এই নীতির মধ্যে, শুধুমাত্র মিশমার গফুল নয়, একটি প্যারাসুট ইউনিট, একটি কিবুটজ থেকেও, মোতায়েন করা হয়েছে।

8 ডিসেম্বর, 1987-এ ইন্তিফাদা শুরু হওয়ার পর থেকে, সমস্ত ইসরায়েলি বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে, এবং "সন্ত্রাস-বিরোধী" বিশেষজ্ঞদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিবুটজ সদস্য এবং প্রাক্তন পালমাচ নেতা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইতজাক রাবিনের নেতৃত্বে, এই বিশেষ ইউনিটগুলি গ্যাসের ব্যবহার, গুলি, হাড় ভাঙা এবং অন্যান্য ফ্যাসিবাদী কৌশল ব্যবহার করে বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টা করে।

উল্লিখিত পদ্ধতিগুলি ফ্যাসিবাদী দখলদারিত্ব নীতির এজেন্ডার অংশ, একটি সত্য যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে পরিচিত। 8 ডিসেম্বর, 1978-এর জেডিওথ আহরারোথ-এর একটি নিবন্ধে CS গ্যাস দিয়ে একটি ফিলিস্তিনি স্কুলে আক্রমণ করার বিষয়ে একজন কিবুটজ সদস্যের বিবরণ প্রতিবেদন করা হয়েছে। বর্ণনাটি জর্মানিবাসীদের বছরের পর বছর ধরে অন্ধ বিদ্বেষ এবং চিন্তাহীনতার সাথে জঘন্য উপলব্ধি এবং ক্ষণিকের সমান্তরাল বর্ণনা করে।

পরিশেষে, কিবুৎজের মধ্যে বর্ণবাদের ঘটনাটি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। অ-ইহুদিদের সদস্য হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না, একটি বর্ণবাদী পদ্ধতির প্রতিফলন যা মানবতাকে দুটি জগতে বিভক্ত করে - অ-ইহুদি এবং ইহুদি। এই বর্ণবাদী মতাদর্শ কিবুটজ সদস্যতার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন। কিবুটজে "রঙ্গিন এবং নোংরা প্রাচ্য" হিসাবে লেবেলযুক্ত মহিলা এবং প্রাচ্যের ইহুদিদের কম সংখ্যা, বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের আরেকটি ইঙ্গিত হিসাবে কাজ করে। "ইহুদি জাতি" এবং "নির্বাচিত মানুষ" সম্পর্কে বর্ণবাদী স্লোগানে প্রকাশিত জায়নবাদী মতাদর্শ কিবুতজে এর স্পষ্ট প্রয়োগ খুঁজে পায়।

কিবুটজে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, এটি স্পষ্ট করা হয় যে কিবুটজ সমাজতান্ত্রিক নয়। বাজেয়াপ্ত ফিলিস্তিনি ভূমি ইহুদি এজেন্সি বা ইসরায়েলি রাষ্ট্রের (যাকে জায়নবাদী ভাষায় ইহুদি জনগণ বলা হয়)। ষাট থেকে সত্তর শতাংশ কিবুতজিম মজুরি শ্রমিক নিয়োগ করে, প্রধানত ফিলিস্তিনিরা। অসংখ্য কিবুতজিমে অস্ত্রসহ শিল্প উৎপাদন সুবিধা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কিবুতজিম শুধুমাত্র একচেটিয়া পুঁজি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং এটি পুঁজিবাদী উদ্যোগও, যার বেশিরভাগই হিস্টাদ্রুটের মালিকানাধীন। যদিও একটি ইউনিয়ন হিসাবে লেবেল করা হয়েছে, হিস্টাড্রুট আটটি সেক্টর নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ইউনিয়ন মাত্র একটি। বেশিরভাগ কিবুটজ সদস্য একই সাথে হিস্টাড্রুটের সদস্য। কিবুতজিম ইসরায়েলের একচেটিয়া পুঁজির ভিত্তি স্থাপন করে এবং ইসরায়েল এবং কিবুতজিমে প্রবাহিত বিদেশী পুঁজির মধ্যে একটি সংযোগ হিসাবে কাজ করে।

কিবুতজিম হল ইউরোপ ও আমেরিকার মজুরি কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলিত শোষণকারী। দাবি যে কিবুটজ গণতান্ত্রিকভাবে সংগঠিত তা চ্যালেঞ্জ করা হয়, যা কিবুটজের মধ্যে একটি সর্বগ্রাসী শাসন প্রকাশ করে। সদস্যদের বহিষ্কার করা যেতে পারে এবং জায়নবাদী বিরোধী ধারণা প্রকাশের জন্য সমস্ত অধিকার হারাতে পারে, উদাহরণস্বরূপ।

কিবুটজ যুদ্ধে জায়নবাদী চেতনাকে মূর্ত করে – আগ্রাসন, দখলদারিত্ব, সংযুক্তি। এটি ইসরায়েলের যুদ্ধের সম্ভাবনার অভ্যন্তরীণ শক্তিবৃদ্ধি এবং এর শক্তির নৈতিক আধার।

"আমরা যেখানেই যাই না কেন, আমরা সবসময় তিনজন থাকব, আপনি এবং আমি এবং পরবর্তী যুদ্ধ।" এই গানের মাধ্যমে, কিবুটজনিকরা তাদের স্ব-বোঝার ঘোষণা দেয়। তারা শুধুমাত্র একটি বর্ণবাদী এবং ফ্যাসিবাদী শিক্ষাই পায় না বরং নির্দিষ্ট আদর্শে সজ্জিত যা শুধুমাত্র হত্যা, গণহত্যা এবং প্রচারণার মধ্যেই পরিপূর্ণতা পায়।

কিবুটজ এর পৌরাণিক কাহিনী যা "মরুভূমিকে প্রস্ফুটিত করে" এবং এটি একটি "সমাজতান্ত্রিক কমিউন" যা "গোঁড়ামি থেকে মুক্ত" এবং "গণতন্ত্রের" নীতির অধীনে কাজ করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের হত্যাকাণ্ডের কার্যকলাপের মাধ্যমে উন্মোচিত এবং খণ্ডন করা হয়েছে। কিবুতজনিক হলেন দেইর ইয়াসিনের খুনি, তাদের অধীনে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির সাবরা এবং শাতিলাকে গণহত্যা করা হয়েছিল। কিবুটজনিক একটি "বৃহত্তর ইসরায়েল" এর জন্য জায়নবাদী সম্প্রসারণ যুদ্ধের নেতা। কিবুটজনিক হল সেই ধর্মান্ধ নৈরাজ্যবাদী যিনি আজ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য গুলি করে – নারী, শিশু, শিশু এবং বয়স্কদের সহ। কিবুটজনিক হল সেই খুনি যে ক্লাব-ওয়াগন দিয়ে শিশু ও যুবকদের পঙ্গু করে এবং জীবন্ত কবর দেয়।

একটি কিবুটজে স্বেচ্ছাসেবক করার অর্থ হল একটি কিবুটজনিককে তাদের হত্যাকাণ্ডের কাজে সমর্থন করা - তা সে ক্ষেত্রেই হোক না কেন ওয়েস্ট ব্যাংক অথবা গাজা.

কিবুটজনিকস: ইহুদিবাদী আগ্রাসী নীতির রাজনৈতিক মূল ভিত্তি

ইসরায়েলি ঔপনিবেশিক সমাজে, সৈন্য, কমান্ডার এবং বেসামরিকদের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন: সমস্ত জায়নবাদী বা বসতি স্থাপনকারীকে তাদের ভূমিকার উপর নির্ভর করে, অতিরিক্ত মাসিক বাধ্যবাধকতা সহ 55 বছর বয়স পর্যন্ত তিন বছর সামরিক চাকরি করতে হবে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই সমানভাবে বাধ্য, এবং কিবুটজনিকরাও যুদ্ধের জন্য অবিরাম সতর্ক থাকে, তিন মাসের বার্ষিক রিজার্ভ ডিউটিতে নিযুক্ত থাকে। ইসরায়েলি সেটলার সোসাইটির সকল সদস্যই সংরক্ষিত, একটি সেনা ব্রিগেডে সংগঠিত, ইসরায়েলি সম্প্রসারণ যুদ্ধ বা সামরিক সংহতি ঘটলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংগঠিত হতে প্রস্তুত।

এই ধরনের অত্যন্ত সামরিকায়িত সমাজে রাজনীতি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো বিভাজন নেই; সামরিক ইস্রায়েলের জীবনের সমস্ত দিককে প্রভাবিত করে। অর্থনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, নেসেট ইত্যাদির উপর এর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। কিবুটজ আন্দোলনের ইতিহাসে কিবুটজ-এর সামরিক ভূমিকা বুঝতে হবে, যেমন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় এর সম্পৃক্ততা (যেমন হাগানা) এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিতাড়ন, প্যালেস্টাইনের উপনিবেশ স্থাপন এবং জায়নবাদী সম্প্রসারণ যুদ্ধের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা।

কিবুতজ সৈন্যরা সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকার বিষয়টি কেবল সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও বসতি স্থাপনকারী সমাজে কিবুতজিমের শক্তিশালী প্রভাব প্রদর্শন করে। ঔপনিবেশিক আন্দোলন হিসাবে ইহুদিবাদী আন্দোলনের রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাস, বর্বর ধ্বংস এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার জন্য, "বৃহত্তর ইসরাইল" গড়ার লক্ষ্য নিয়ে চলতে থাকে। সম্প্রসারণ যুদ্ধগুলি এরই বহিঃপ্রকাশ; তাই, ইসরায়েলের নীতি হল সামরিক, বর্বর কিবুতজ সৈন্য, এবং ভারী সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারী। এটি সম্প্রসারণ এবং যুদ্ধের নীতি।

প্রশ্ন জাগে: এমন একজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ আছেন যিনি কমান্ডার ছিলেন না বা নন? ইসরায়েলি নেসেটে কি কিবুটজ প্রতিনিধি বা কিবুটজ রাজনীতিবিদ আছেন যিনি কমান্ডার ছিলেন না বা নন? বাস্তবে, সমস্ত ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ একই সাথে সামরিক ব্যক্তিত্ব; অনেক রাজনীতিবিদ ইরগুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা মেনাচিম বেগিনের মতো ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের কমান্ডার ছিলেন।

তথাকথিত শ্রমিক দলগুলি, তাদের ঔপনিবেশিক যন্ত্র, কিবুতজ আন্দোলন এবং হিস্তাদ্রুত, শুধুমাত্র সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও ফিলিস্তিনে ঔপনিবেশিক প্রকল্প এবং ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক ছিল। ফিলিস্তিনে সামাজিক ইহুদিবাদ ও জায়নবাদী বসতি স্থাপনকারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা ডেভিড বেন গুরিয়নকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। "বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিবিদদের প্রায় 70-80% যারা 20 সালে 1948 বছরের বেশি বয়সী ছিলেন তারা কিবুতজিমের প্রাক্তন সদস্য হতে পারেন।" সুতরাং, শুধু সামরিক অভিজাতরাই নয়, ইসরায়েলের রাজনীতিবিদরাও এসেছেন এবং আসছেন কিবুতজিম থেকে। সামাজিক জায়নবাদীরা, যারা ইসরায়েল প্রতিষ্ঠায় জায়নবাদের প্রধান নেতা ছিল, তারা 1977 সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। তারপর, মেনাচেম বেগিনের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী লিকুদ ব্লক ক্ষমতা দখল করে। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের সব নেতারা রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠে। 1977 সাল পর্যন্ত, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য, পাশাপাশি বেশ কিছু প্রধানমন্ত্রী কিবুতজিম থেকে এসেছেন, যেমন, গোল্ডা মেইর এবং ডেভিড বেন গুরিয়ন।

কিবুটজনিক বেন-ডভ মেইর লিখেছেন: “বর্তমানে লেবার পার্টিতে সক্রিয় সমস্ত রাজনীতিবিদদের 20% একই সাথে কিবুটজের সদস্য। হিস্তাদ্রুত কার্যনির্বাহী কমিটিতে, 32 জন কমিটির সদস্য বর্তমানে কিবুতজিমে সক্রিয় রয়েছে।” চারটি নেসেট নির্বাচনে, 19 জন প্রতিনিধির মধ্যে 120 জন কিবুটজ সদস্য ছিলেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে, কিবুটজ থেকে আসা মন্ত্রীদের অনুপাত ছিল 33% (যদিও কিবুটজ বাসিন্দারা মোট জনসংখ্যার মাত্র 3.5% ছিল)। 1977 সাল পর্যন্ত, ছদ্ম-সমাজবাদী জায়নবাদীরা, বিশেষ করে কিবুটজনিক, বৃহত্তর ইসরায়েলের জন্য মোট পাঁচটি সম্প্রসারণ যুদ্ধের প্রকৌশলী ছিল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান ধ্বংসযজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

1956 সালে, ইসরাইল গাজা ও সিনাই দখল করে এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে একত্রে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। মিশর. 1967 সালে, ইসরাইল ফিলিস্তিনের বাকি অংশ দখল করে নেয় ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা)। ফিলিস্তিনি ও আরব রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে এই ক্রমাগত আগ্রাসনের মাধ্যমে, ইসরায়েল সামরিকভাবে গড়ে ওঠে, রাষ্ট্রের অগ্রভাগে সামরিক বাহিনীকে স্থাপন করে এবং এটিকে একটি ধর্মে উন্নীত করে। অথবা, জায়নবাদীরা এটিকে চিত্রিত করতে পছন্দ করে: ইসরাইল একটি সৈনিক রাষ্ট্র হিসাবে। সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সম্প্রসারণবাদী যুদ্ধগুলি সমস্ত জায়নবাদী দলগুলির দ্বারা বৈধ হিসাবে উপস্থাপিত হয়: "শান্তি প্রয়োগ করার জন্য," "প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ" হিসাবে "নিরাপত্তা সীমানা" এবং "ইরেজ ইজরায়েলকে মুক্ত করার জন্য।" যখন লেবার পার্টি, কিবুতজ সৈন্যদের সহায়তায়, 1967 সালের সম্প্রসারণ যুদ্ধ পরিচালনা করে, তখন মেনাচেম বেগিন এবং তার লিকুদ ব্লককে উল্লেখ করে। ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজাকে "মুক্ত এলাকা।"

যুদ্ধের নেতারা অবিলম্বে কিবুতজিম প্রতিষ্ঠা শুরু করে ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা। সিরিয়ার গোলান হাইটসে, মাপাম 1967 সালে প্রথম কিবুটজ তৈরি করেন, যার নাম ছিল স্নির। সমস্ত ইসরায়েলি দল ইহুদিবাদী আদর্শ ও লক্ষ্যকে গ্রহণ করে; অতএব, এই দলগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলি কেবলমাত্র অতিমাত্রায়, যেমনটি 1984 সাল থেকে লেবার পার্টি এবং লিকুদ ব্লক দ্বারা একটি যৌথ সরকার গঠনের দ্বারা প্রমাণিত। আজ, লেবার পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন কিবুতজনিক ইতজাক রাবিন (প্রতিরক্ষা মন্ত্রী), এবং শামির লিকুদ ব্লক থেকে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়।

ইহুদিবাদী জেনস ম্যাটিসেন, 'কিবুতজ কনক্রেট 87/88' বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন: "ইহুদি-আরব সংঘাতের বিষয়ে, আমি সংক্ষেপে উল্লেখ করতে চাই যে আজ, কিবুটজনিকরা শান্তি আন্দোলনের মূলে রয়েছে।" এখানে, জায়নবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ অঙ্গটিকে "শান্তি আন্দোলনের মূল" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধরনের প্রচার মিথ্যা শুধুমাত্র তাদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে যাদের প্রকৃত সংযোগ সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। একটি বাস্তবতা হল যে কিবুটজ ইস্রায়েলের যুদ্ধ নীতির জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা। “কিবুতজিম হল সেই মজুদ যেখান থেকে ইসরায়েলের রাজনৈতিক জীবনের নতুন নতুন শক্তিগুলো তৈরি হয়। প্রতিনিধিদের অস্থায়ীভাবে এখান থেকে যুব আন্দোলন, জায়নবাদের আন্তর্জাতিক কাজ এবং অবশ্যই সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়।”

নাৎসি জার্মানিতে NSDAP-এর সাথে তুলনীয় ইহুদিবাদী শ্রমিক দলগুলোর মেরুদণ্ড হিসেবে কিবুটজনিক
সমস্ত কিবুটজনিকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইহুদিবাদী, ইহুদিবাদী ঔপনিবেশিক প্রকল্প বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে ধরে রেখেছে এবং এখনও বৃহত্তর ইসরায়েলের লক্ষ্যের জন্য লড়াই করছে। জায়নবাদের মতাদর্শের সাথে, বর্ণবাদী এবং অরাজকতাবাদী শিক্ষার সাথে, কিবুতজিম একটি নীতি অনুসরণ করে যা নিম্নরূপ প্রণয়ন করা হয়েছে: "কিবুতজের প্রধান কাজ ছিল ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য একটি বস্তুগত ভিত্তি তৈরি করা।" কিবুতজ আন্দোলনের প্রবক্তারা, তথাকথিত শ্রমিক দল যারা নিজেদেরকে "সমাজবাদী" হিসাবে লেবেল করতে চায় এবং তাদের কিবুতজিমকে "সমাজতান্ত্রিক কমিউন" হিসাবে বিক্রি করতে চায়: "কিবুতজিম প্যালেস্টাইনে প্রতিষ্ঠিত এবং বিকশিত হয়েছিল যেহেতু এটি কঠিন পরিবর্তনের মধ্য দিয়েছিল। একটি পশ্চিমা জাতি-রাষ্ট্রে আধা-সামন্ততান্ত্রিক অবস্থা।" হার্জল যেমন "সাংস্কৃতিক জাতিগুলির মধ্যে ইহুদি প্রশ্নের" সমাধান চেয়েছিলেন, অর্থাত্ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলি, ছদ্ম-সমাজবাদী জায়নবাদীরাও তাদের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়েছিল।

কিবুতজিমরা তাদের নিজস্ব বা স্বাধীন নীতি অনুসরণ করে না; পরিবর্তে, তারা বিভিন্ন ফেডারেশনে সংগঠিত হয়। এই ফেডারেশনগুলি একটি ছাতা সংগঠনের নেতৃত্বে, ইউনিয়ন অফ কিবুটজ মুভমেন্ট (1963 সালে প্রতিষ্ঠিত)। বিভিন্ন ফেডারেশনের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে, হিস্টাড্রুট এন্টারপ্রাইজের একটি প্রকল্প হিসাবে 80% এর বেশি কিবুটজিম নিবন্ধিত।

বৃহত্তম কিবুতজ ফেডারেশন হল "তেনুয়া কিবুতজিত মেউচেডেট" (ইউনাইটেড কিবুটজ মুভমেন্ট, সংক্ষেপে তাকাম)। এটি "কিবুতজিম এবং কিবুতজোটের ঐক্য" এবং "ইউনাইটেড কিবুতজিম" এর একীভূতকরণ, যা 1979 সালে হয়েছিল। ফেডারেশনটি লেবার পার্টির অন্তর্গত। কিবুটজ ফেডারেশন "কিবুতজ হারজি" (ন্যাশনাল কিবুটজ) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যুব আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছে, বিশেষ করে 1913 সালে গ্যালিসিয়ায় প্রতিষ্ঠিত একটি থেকে।

যুদ্ধের নেতারা অবিলম্বে কিবুতজিম নির্মাণ শুরু করেন ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা। সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে, মাপাম 1967 সালে স্নির নামে প্রথম কিবুতজ প্রতিষ্ঠা করে। সমস্ত ইসরায়েলি দল ইহুদিবাদী মতাদর্শ ও লক্ষ্যকে গ্রহণ করে; ফলস্বরূপ, এই দলগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলি কেবলমাত্র অতিমাত্রায়, যেমনটি 1984 সাল থেকে লেবার পার্টি এবং লিকুদ ব্লক দ্বারা একটি যৌথ সরকার গঠনের দ্বারা প্রমাণিত। আজ, লেবার পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন কিবুটজনিক ইতজাক রাবিন (প্রতিরক্ষা মন্ত্রী), এবং লিকুদ ব্লকের শামির ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জায়নিস্ট জেনস ম্যাটিসেন তার 'কিবুটজ কনক্রেট 87/88' বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন: "ইহুদি-আরব সংঘাতের বিষয়ে, আমি সংক্ষেপে উল্লেখ করতে চাই যে আজ কিবুটজনিকরা শান্তি আন্দোলনের মূলে রয়েছে।" এখানে, জায়নবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ অঙ্গটিকে "শান্তি আন্দোলনের মূল" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধরনের অপপ্রচারমূলক মিথ্যা শুধুমাত্র সেই লোকদের কাছে বিক্রি করা যায় যাদের প্রকৃত প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। একটি সত্য হল যে কিবুটজ ইস্রায়েলের যুদ্ধ নীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা। “কিবুতজিম হল সেই মজুদ যেখান থেকে ইসরায়েলের রাজনৈতিক জীবনের নতুন শক্তি ক্রমাগত টানা হয়। প্রতিনিধিদের অস্থায়ীভাবে এখান থেকে যুব আন্দোলন, জায়নবাদের আন্তর্জাতিক কাজ এবং অবশ্যই সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়।”

নাৎসি জার্মানিতে NSDAP-এর সাথে তুলনীয় ইহুদিবাদী শ্রমিক দলগুলোর মেরুদণ্ড হিসেবে কিবুটজনিক

সমস্ত কিবুটজনিকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইহুদিবাদী, ইহুদিবাদী ঔপনিবেশিক প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল কাজগুলিকে ধরে রেখেছে এবং বৃহত্তর ইসরায়েলের লক্ষ্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইহুদিবাদের মতাদর্শের সাথে, বর্ণবাদী এবং অরাজকতাবাদী শিক্ষার সাথে মিলিত হয়ে, কিবুতজিম একটি নীতি অনুসরণ করে যা নিম্নরূপ প্রণয়ন করা হয়েছে: "কিবুতজের প্রধান কাজ ছিল ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য একটি বস্তুগত ভিত্তি তৈরি করা।" কিবুতজ আন্দোলনের বাহক, তথাকথিত শ্রমিক দল, যারা নিজেদেরকে "সমাজবাদী" হিসাবে লেবেল করতে পছন্দ করে এবং তাদের কিবুতজিমকে "সমাজতান্ত্রিক কমিউন" হিসাবে বিক্রি করতে চায়: "কিবুতজিম প্যালেস্টাইনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিকশিত হয়েছিল আধা থেকে কঠিন রূপান্তরের সময়। একটি পশ্চিমা জাতি-রাষ্ট্রের সামন্ততান্ত্রিক অবস্থা।" হার্জল যেমন "সাংস্কৃতিক জাতিগুলির মধ্যে ইহুদি প্রশ্নের" সমাধান চেয়েছিলেন, অর্থাত্ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলি, ছদ্ম-সমাজবাদী জায়নবাদীরাও তাদের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য রাখে। কিবুতজিমরা তাদের নিজস্ব স্বাধীন নীতি অনুসরণ করে না কিন্তু বিভিন্ন ফেডারেশনে একত্রিত হয়। এই ফেডারেশনগুলি একটি ছাতা সংগঠনের নেতৃত্বে, ইউনিয়ন অফ কিবুটজ মুভমেন্ট (1963 সালে প্রতিষ্ঠিত)।

বিভিন্ন ফেডারেশনের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। কিবুটজিমের 80% এর বেশি হিস্টাড্রুট এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প হিসাবে নিবন্ধিত। বৃহত্তম কিবুতজ ফেডারেশন হল "তেনুয়া কিবুটজ্ট মিউচেডেট" (ইউনাইটেড কিবুটজ মুভমেন্ট, সংক্ষেপে তাকাম), যা "কিবুতজোট এবং কিবুতজিমের ঐক্য" এবং "ইউনাইটেড কিবুতজিম" এর একীভূতকরণ নিয়ে গঠিত যা 1979 সালে সংঘটিত হয়েছিল। লেবার পার্টির অন্তর্গত। কিবুটজ ফেডারেশন "কিবুতজ হারজি" (ন্যাশনাল কিবুটজ) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যুব আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, বিশেষ করে 1913-এর প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠন "হাশোমার হাজাইর" (দ্য ইয়াং গার্ড) গ্যালিসিয়া থেকে। ফেডারেশনটি জায়োনিস্ট পার্টি MAPAM-এর অন্তর্গত, যেটি নিজেকে মার্ক্সবাদী হিসাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করে। কিবুটজ ফেডারেশনের একটি উপস্থাপনা অনুসারে, ইউনাইটেড কিবুটজ মুভমেন্টে 170 জন বাসিন্দা সহ 85,250টি কিবুটজিম রয়েছে এবং "কিবুতজ হা'আরজি"-তে প্রায় 85 জন বাসিন্দা সহ 41,750টি কিবুটজিম রয়েছে। এটি লক্ষ করা উচিত যে সমস্ত কিবুতজিম ছদ্ম-সমাজবাদী এবং ইহুদি কিংবদন্তির মিশ্রণে তৈরি হয় না। এছাড়াও “হাকিবুজ হাদিতি” এবং “পোয়ালেই আগুদাত ইজরায়েল” ফেডারেশনের সাথে যুক্ত গোঁড়া-ধর্মীয় কিবুতজিম রয়েছে। কিবুতজিমের অধিকাংশই লেবার পার্টি এবং এমএপিএএম-এর। তারা এই দলগুলির জন্য প্রশিক্ষণের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এবং তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি - শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও। "আজ অবধি, বেশিরভাগ কিবুতজিমে, 80-90% সদস্য এখনও সেই দলকে ভোট দেয় যে দলটির প্রতিষ্ঠাতারা কিবুতজের অন্তর্গত।"

কিবুটজ এর অর্থনৈতিক ফাংশন উপর

ইহুদিবাদী আন্দোলন, ফিলিস্তিনকে উপনিবেশ স্থাপনে, "ভূমিতে সত্য" নীতি অনুসরণ করেছিল। এটি জায়নবাদী কৃষি বসতি স্থাপনের সাথে জড়িত। তদনুসারে, জায়নবাদী পরিকল্পনাটি নিম্নরূপ ছিল: "এজেন্সি ইহুদি শ্রম দ্বারা কৃষি উপনিবেশকে উন্নীত করবে এবং এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত বা সমর্থিত সমস্ত কাজ বা উদ্যোগে, নীতিগতভাবে, ইহুদি শ্রম নিয়োগ করা উচিত।" এই নীতিটি মূলত কিবুতজের ঔপনিবেশিক যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল, যার মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাস ও বহিষ্কার জড়িত ছিল।

কিবুটজ অর্থনীতি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য:

কিবুতজিম বাজেয়াপ্ত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং আছে; জমিটি কিবুতজিমকে ইহুদি এজেন্সি দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে, একটি সত্য যা জায়নবাদী এবং জায়োনিস্টপন্থী লেখকদের দ্বারা উল্লেখ করা হয়নি।

কিবুটজের কর্মীবাহিনীর মধ্যে কিবুটজ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যাদের সাধারণত দুটি ভূমিকা থাকে, সৈনিক এবং কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করা। উপরন্তু, কিবুতজে সস্তায় শ্রম হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মূলত ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের। বিদেশী স্বেচ্ছাসেবকরাও কর্মশক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার একটি উদাহরণ হল কিবুতজ 'আইন হ্যাশলোশা', যার প্রায় 200 জন বাসিন্দা রয়েছে এবং ক্রমাগত প্রায় 50 জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে।

কিবুতজিমকে প্রাথমিকভাবে ইহুদিবাদের একচেটিয়া পুঁজি দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। ইহুদিবাদী সত্তা প্রতিষ্ঠার আগে, ইহুদি এজেন্সি কিবুতজিমকে অর্থায়ন করেছিল এবং পরে, রাষ্ট্র নিজেই দখল করে নেয়।

কিবুতজিম হল জায়নিস্ট এন্টারপ্রাইজ হিস্টাড্রুটের একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প, যা লাভও করে। কিবুটজের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের রূপরেখার জন্য, নিম্নলিখিতগুলি সংক্ষেপে কিবুটজের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলিকে সম্বোধন করবে।

প্রাথমিক লক্ষ্য হল ফিলিস্তিনি জনগণের অর্থনৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করা। ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে, ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার অধিকাংশই ছিল কৃষক; 80% ফিলিস্তিনিরা কৃষিকাজে নিযুক্ত ছিল এবং গ্রামে বসবাস করত। ইহুদিবাদী আন্দোলন, ব্রিটিশ সমর্থনে, ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং নিয়মতান্ত্রিক ভূমি দখলের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে বহিষ্কারের চেষ্টা করেছিল। ফিলিস্তিনের কৃষিকে ধ্বংস করার জন্য কিবুতজ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔপনিবেশিক যন্ত্র। জায়োনিস্ট ফার্ম কর্মীদের যারা জার্মানি বা অস্ট্রিয়াতে কৃষি প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তাদের জমিতে আনা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ, প্রধানত কৃষকদের নেতৃত্বে, জমি দখলের নীতির বিরোধিতা করেছিল (যেমন, 1936-1939 সালের বিদ্রোহ)। আজ ফিলিস্তিনিরা ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা একই ধরনের উপনিবেশবাদী পদ্ধতির মুখোমুখি হয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণ এই নীতির বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ায়।

"মরুভূমিকে প্রস্ফুটিত করা হয়েছে" এই প্রতারণামূলক স্লোগান সত্ত্বেও কিবুটজনিকরা ফিলিস্তিনের সবচেয়ে উর্বর জমি দখল করেছে। প্রথম কিবুতজিম মারজ ইবনে আমের (জিজরিল উপত্যকা) উর্বর সমভূমিতে এবং পরে ফিলিস্তিন উপকূলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কেউ ভাবতে পারে, কিবুটজনিকরা যে মরুভূমিতে ফুল ফুটিয়েছিল তা কোথায়? মারজ ইবনে আমের এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলি ফিলিস্তিনিদের দ্বারা বহু শতাব্দী ধরে চাষ করা অত্যন্ত উর্বর জমি এবং ঘনবসতিপূর্ণ। এমনকি নেগেভে, ফিলিস্তিনি আধা-যাযাবররা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কৃষিকাজ করে আসছে।

সমগ্র সমাজের কৃষি চাহিদা মেটানো এবং রপ্তানি নিশ্চিত করা কিবুতজিমের কাজ।

কিবুতজিম নতুন প্রতিষ্ঠিত বসতিগুলির জন্য কৃষি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য দায়ী।

কিবুটজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে একটি ছিল "ইহুদি শ্রম" এবং "ইহুদি অর্থনীতি" তৈরি করা। ইহুদিবাদের ছদ্ম-সমাজবাদী তাত্ত্বিকদের দ্বারা বিকশিত "ভূমিতে প্রত্যাবর্তন", "কর্মের ধর্ম" এবং "শ্রমের বিজয়" এর মতো স্লোগানের অধীনে, কিবুটজ এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য দায়ী ছিলেন। এই কৌশলটি ইহুদিবাদের বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিকতাকে চিহ্নিত করে, ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের নির্মূল করে—কিবুতজ বা অন্য কোনো বসতিতে কোনো ফিলিস্তিনি মজুরি শ্রমের অনুমতি ছিল না এবং ফিলিস্তিনি পণ্য বয়কট করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল "ইহুদি" বা "হিব্রু পণ্য" উত্পাদন করা এবং বসতি স্থাপনকারীদের শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব "হিব্রু পণ্য" কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিকতা ঔপনিবেশিকতার শাস্ত্রীয় রূপ থেকে (যেমন, ইংল্যান্ড বা ফ্রান্সের) "ভূমিতে প্রত্যাবর্তন" অর্থাৎ ভূমি জয় করা এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা এবং "শ্রমের বিজয়", অর্থাৎ, নিয়োগ না করা থেকে আলাদা। ফিলিস্তিনিরা।

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং আগ্রাসন যুদ্ধের অর্থায়ন। কিবুতজিম কেবলমাত্র ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির (যেমন হাগানাহ এবং পালমাচ) সামরিক ঘাঁটি ছিল না বরং ইহুদিবাদী আগ্রাসনের সূচনাস্থল এবং একই সাথে একটি অর্থনৈতিক ভিত্তিও ছিল। ডভ বেন মেয়ার লিখেছেন: "পালমাচের হতবাক সৈন্যরা কিবুটজেই কাজ করে তাদের সামরিক অভিযানে অর্থায়ন করতে পেরে গর্বিত ছিল।" আরেকটি উদাহরণ হল 1948 সালে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বহিষ্কার যুদ্ধ, যেখানে কিবুতজিম ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিবুটজ সদস্য লিপিনস্কি বলেছেন, "স্বাধীনতার সংগ্রামের সময়, কিবুটজ কারখানাগুলি ইহুদি সৈন্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।"

1950-এর দশকে, নতুন অভিবাসী বসতি স্থাপনকারীদের জন্য চাকরি তৈরি করার কাজও কিবুটজের ছিল। প্রাথমিকভাবে, কিবুতজিম ছিল সম্পূর্ণরূপে কৃষি বসতি। 1950-এর দশকের গোড়ার দিকে, কিবুতজিমের অধিকাংশই শিল্পোন্নত হয়ে পড়ে। আজ, বিভিন্ন কৃষি পণ্য (ফল, শাকসবজি) উত্থিত হয়। যদিও কিবুটজ সদস্যরা ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার মাত্র 3.5%, কিবুটজিম কৃষি শ্রমিকদের 21% অবদান রাখে এবং ইস্রায়েলীয় কৃষি উৎপাদনের প্রায় 50% আসে কিবুটজিম থেকে। মোশাভিম এবং কিবুতজিম মোট কৃষি পণ্যের 3/4 অংশ। হিস্টাড্রুট সংস্থা কিবুটজিমে উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ ও সংগঠিত করে এবং কিবুটজিমের অর্থনৈতিক পণ্য বিক্রি করা হয় হিস্টাড্রুটের টেনুভা কোম্পানির মাধ্যমে।

ইতিমধ্যে 1930-এর দশকে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে 23 জন জায়নবাদী "অগ্রগামী" কিবুতজিমে ছোট ওয়ার্কশপ স্থাপন করেছিল। 1941 সালে, কিবুটজিমে শিল্প উৎপাদন শুরু হয় এবং 1950 সাল নাগাদ, সেই সময়ে বিদ্যমান প্রায় 1,261টি কিবুতজিমে 170টি শিল্প সুবিধা ছিল। 1970 সাল থেকে, কিবুতজিমের শিল্প পণ্যও রপ্তানি করা হয়েছিল। 215 সালে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল 1980 মিলিয়ন ডলার এবং 291 সালের মধ্যে ইতিমধ্যেই 1985 মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কিবুতজিমে, কৃষি পণ্য, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এবং এমনকি অস্ত্র তৈরি করা হয়। কিবুটজ উৎপাদন সমগ্র ইসরায়েলি শিল্পের 12% গঠন করে এবং কিবুটজের লাভের 40% শিল্প উত্পাদন থেকে আসে।

সিউডো-সমাজবাদী ইহুদিবাদ

ছদ্ম-সমাজতান্ত্রিক জায়নবাদের লক্ষ্যগুলি নিম্নরূপ ছিল এবং এখনও রয়েছে:

I. একটি জায়নবাদী উপনিবেশ সৃষ্টি যেখানে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ইহুদিদের একত্রিত হওয়া উচিত; এই জায়গাটিকে বলা হয় 'কিবুটজ হাগালুইওট' (প্রবাসীদের সংগ্রহ)। সমস্ত জায়নবাদীরা এই লক্ষ্যটি ভাগ করে নেয়, তারা "সমাজবাদী", "উদারপন্থী" বা "গোঁড়া" হিসাবে চিহ্নিত করুক না কেন। বেন বোরোচো তার ছদ্ম-সমাজতান্ত্রিক দল "পোয়াল জিওন" এর প্ল্যাটফর্মে ব্যাখ্যা করেছেন:
“এই শর্ত অনুসারে, প্যালেস্টাইন, এমন একটি ভূমি যেখানে ইহুদিরা ঐতিহাসিকভাবে আবদ্ধ বলে মনে করে। এই দেশে, ইহুদি শ্রমিকের শ্রেণী সংগ্রামের জন্য একটি স্বাভাবিক কৌশলগত ভিত্তি থাকবে এবং তার মুক্তির কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে।” বোরোচোর মতে, "ইহুদি জনগণের" মুক্তি শুধুমাত্র ইহুদিবাদ এবং একটি জায়নবাদী উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। "আমাদের অবশ্যই দাবি করতে হবে যে ফিলিস্তিনকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে যে কোনও দেশের শাসনের অধীনে রাখতে হবে... এই আন্তর্জাতিক ফোরামে, আমাদের অবশ্যই উপনিবেশের অধিকার এবং অবাধ অভিবাসনের দাবি জানাতে হবে।"

ছদ্ম-সমাজবাদী জায়নবাদীরা ইহুদিবাদী ঔপনিবেশিক কৌশল এবং আদর্শে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের নেতৃত্বে বৃহত্তর ইসরায়েলের ইহুদিবাদী লক্ষ্যের জন্য বেশ কয়েকটি সম্প্রসারণ যুদ্ধ পরিচালিত হয়। 'হাশোমার হাজাইর' (পরে মাপাম) এই দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে যে "ইহুদি জনগণের" মুক্তি ইহুদিবাদকে উপলব্ধি করার পথে একটি মঞ্চ মাত্র। এই দলের জন্য, ইহুদিদের স্বদেশের জন্য একটি বস্তুগত ভিত্তি তৈরি করা (গঠনবাদ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

২. সামাজিক জায়নবাদ ফিলিস্তিনকে জনবহুল করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি করেছে, যেমন হিস্টাড্রুট। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হল "ঔপনিবেশিক ইউনিট" একটি গ্রুপ আকারে যা জায়নবাদীরা একটি "সম্মিলিত" হিসাবে উল্লেখ করেছে; "সম্মিলিত বন্দোবস্ত" অর্থাৎ, কিবুটজ, ব্যবহারিক কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যেহেতু ইহুদিবাদের দ্বারা 'ব্যক্তিদের' সাথে ফিলিস্তিনের বসতি স্থাপনের প্রচেষ্টা 1910 সাল পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল এবং শাস্ত্রীয় ঔপনিবেশিকতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে জমিটি সামরিকভাবে জয় করা যায়নি, তাই কিবুতজ সেটলার ব্রিগেড তৈরি করা হয়েছিল। এই বসতি স্থাপনকারীরা শুরু থেকেই সশস্ত্র ছিল এবং ফিলিস্তিনের নিষ্পত্তিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।

III. সামাজিক ইহুদিবাদের লক্ষ্য ছিল পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম থেকে তাদের নিজ নিজ দেশে ইহুদি বিশ্বাসের সর্বহারা শ্রেণীকে বিমুখ করা। ইহুদি এবং অন্যান্য সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে একটি কৃত্রিম প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সামাজিক জায়নবাদ ইহুদি বিশ্বাসের সর্বহারা শ্রেণীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে এর মুক্তি শুধুমাত্র উপনিবেশিত প্যালেস্টাইনে ঘটতে পারে, যার অর্থ ইহুদিদের তাদের স্বদেশে অগ্রগতির জন্য বিপ্লবী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, "Poale Zion", যা প্রাথমিকভাবে পূর্ব ইউরোপে পরিচালিত হয়েছিল, অক্টোবর বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেনি এবং স্পষ্টভাবে বিরোধিতা করেছিল। বিকল্প হিসেবে, সামাজিক জায়নবাদ এই পরিকল্পনার হাতিয়ার হিসেবে ফিলিস্তিনের বসতি এবং কিবুতজকে গড়ে তুলেছিল। যদিও সমাজতান্ত্রিক সমষ্টিবাদ পুঁজির বিরুদ্ধে শ্রেণী সংগ্রামে সর্বহারা সংহতি প্রকাশ করে, জায়নবাদী "সম্মিলিত" কিবুটজ বর্ণবাদী সেটলার সমাজের একটি বিল্ডিং ব্লক।

IV ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে বৈধতা দেওয়া সামাজিক জায়নবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল এবং এখনও রয়েছে। ইহুদিবাদী, জায়োনিস্টপন্থী, এবং বিশেষ করে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার ছদ্ম-সমাজবাদীরা ইস্রায়েলকে "গণতান্ত্রিক", "মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের মরূদ্যান" এবং আরব সামন্তবাদের পরিবেশে "প্রগতিশীল" হিসাবে চিহ্নিত করে। এই প্রচারের জন্য, কিবুটজ একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করে, কারণ এটিকে "সমাজতান্ত্রিক" হিসাবে উপস্থাপন করা হয় এবং অনুমিতভাবে "ইসরায়েলি গণতন্ত্রের চেতনা" মূর্ত করে। 478 ফিলিস্তিনি গ্রাম ও শহর ধ্বংস, জনসংখ্যা বিতাড়ন, এবং সম্প্রসারণ যুদ্ধ এই অঞ্চলের জন্য প্রগতিশীল অর্জন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এমনকি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, বামপন্থীদের অংশ এবং বুর্জোয়া উদারপন্থীরা বারবার দুটি জায়নবাদী প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেছেন: হিস্টাদ্রুত এবং কিবুতজ।

কিবুটজের "সমাজতন্ত্র" বোঝার জন্য, আমাদের অবশ্যই নিম্নলিখিত দিকগুলি পরীক্ষা করতে হবে: সমষ্টিগত, শ্রেণী সংগ্রাম, কিবুটজে মজুরি শ্রম এবং একচেটিয়া পুঁজির উপর কিবুটজের নির্ভরতা। বর্ণবাদের প্রশ্নটি এখানে প্রাথমিকভাবে সম্বোধন করা যাবে না, কারণ এটির জন্য একটি গভীর পরীক্ষার প্রয়োজন যা স্থানের সীমাবদ্ধতার কারণে এখানে করা যাবে না।

কিবুটজ-এর সমষ্টি "কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়" নীতির অধীনে কাজ করে; সবকিছুই "সম্মিলিত", যেমন শিক্ষা এবং অর্থনীতি, এবং সদস্যদের মধ্যে "সমতা ও গণতন্ত্র" আছে। "সবাই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্রহণ করে!" এবং: "কিবুটজের সবকিছুই বুর্জোয়া জীবনের বিকল্প।" এইসব প্রতারণামূলক এবং খালি স্লোগান দিয়ে, কিবুটজনিক এবং জায়নবাদীরা কিবুটজের প্রকৃত উপনিবেশবাদী মুখ লুকানোর চেষ্টা করে।

চুরি করা ফিলিস্তিনি জমি পৃথক বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি। পরিবর্তে, এটি "চিরন্তন ইহুদি সম্পত্তি"তে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং "ইহুদি জনগণের" সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। কার্যত সমস্ত জমি "ইহুদি জাতীয় তহবিলের" ​​নিয়ন্ত্রণে এসেছিল, যা ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের কাছে ইজারা দেয়। যখনই কিবুতজ সৈন্যরা জোরপূর্বক কোনো আরব ভূখণ্ড জয় করত, তখনই এটিকে "ইহুদি জনগণের সম্পত্তি" বলে ঘোষণা করা হয়। এমনকি ইহুদিবাদী পুঁজিবাদী ব্যারন ডি রথচাইল্ডের অর্থায়নে ফিলিস্তিনে প্রথম জায়নবাদী বসতি স্থাপনের সময়ও বসতি স্থাপনকারীদের মালিকানার কোনো দাবি ছিল না। তারা প্রকল্পে কাজ করেছিল, লাভ রথসচাইল্ডের কাছে যায় এবং বিজিত জমি "ইহুদি জনগণের"। কিবুতজিমদের নিজেদেরকে "চিরন্তন ইহুদি সম্পত্তি" হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাদের সদস্যরা হিস্টাড্রুটের একটি এন্টারপ্রাইজে কাজ করে যেটি উৎপাদনের উপায়ের মালিক, লাভ পায় এবং কিবুটজ সদস্যদের নিয়োগ করে - শুধুমাত্র তারা ঔপনিবেশিক কারণে সমষ্টিবাদী আকারে একত্রিত হয়। এ. এরলিচ এই সমষ্টিবাদী রূপগুলির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে: “অন্যান্য ঔপনিবেশিক সমাজের বিপরীতে যেখানে উপনিবেশবাদীরা একটি শোষক শ্রেণীতে পরিণত হয়েছিল, ইহুদিবাদের লক্ষ্য ছিল আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে স্থানচ্যুত করা। যেহেতু ম্যান্ডেট সরকারের অধীনে এটি অর্জন করা যায়নি, তাই এটিকে বাজার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল…। অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার এই পরিস্থিতিতে, ইহুদি বসতির সমষ্টিবাদী রূপ বিকশিত হয়েছিল, কেন তারা আবির্ভূত হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে।"

ইহুদি জাতীয় তহবিল, ইহুদি সংস্থা, চুরি হওয়া ফিলিস্তিনি জমির মালিকানার প্রশ্নে নিম্নলিখিতটি বলে: “ফিলিস্তিনের জমি ইহুদি সম্পত্তি হিসাবে অধিগ্রহণ করতে হবে… এবং জমির অধিকার তাদের নামে অধিগ্রহণ করতে হবে। ইহুদি জাতীয় তহবিল এই লক্ষ্যে যে তারা ইহুদি জনগণের অবিচ্ছেদ্য সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে...” কিবুটজ যৌথ সামন্তবাদ থেকে কৃষকদের মুক্তির সাথে কিছুই করার নেই তবে কেবল তাদের জমি থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের সাথে।

'সম্মিলিত' শব্দটি বোঝার জন্য, একজনকে অবশ্যই কিবুটজের অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং এর প্রধান ফাংশন - সামরিক একটি বিবেচনা করতে হবে। ঔপনিবেশিক ইউনিট কিবুটজে "সম্মিলিত" মানে তার সদস্যদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ - কিবুটজের সামরিক কাজ এবং এর অভ্যন্তরীণ বর্ণবাদী কাঠামো এতে বিরাজমান সর্বগ্রাসীতাকে ব্যাখ্যা করে।

শ্রেণীসংগ্রাম

পুঁজিবাদী সমাজে প্রলেতারিয়েত পুঁজির শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য যে শ্রেণী সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয় তা কিবুতজের কাছে বিদেশী। ডভ বেন মেইর লিখেছেন: "... শ্রেণী সংগ্রামের শর্তের অভাব ছিল।" শ্রেণী সংগ্রামের একটি মৌলিক রূপ হল রাজনৈতিক সংগ্রাম, যার লক্ষ্য বুর্জোয়াদের ক্ষমতাকে উৎখাত করা এবং শ্রমিক শ্রেণীর শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কিবুটজের রাজনৈতিক কাজ এবং লক্ষ্য কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিবুটজের ঔপনিবেশিক বা সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। তাই কিবুতজ কি বুর্জোয়া মতাদর্শের বিরুদ্ধে মতাদর্শগত সংগ্রামে লিপ্ত হয় – শ্রেণী সংগ্রামের একটি মৌলিক রূপও? কিবুটজ কি শ্রমিক শ্রেণীর জন্য তার ঐতিহাসিক মিশন সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য লড়াই করে? না, কারণ প্রকৃতপক্ষে শুধুমাত্র জায়নবাদী মতাদর্শই বিরাজ করে, এবং বর্ণবাদ সবচেয়ে জোরালোভাবে উপস্থাপক সমাজে, বিশেষ করে কিবুতজে প্রতিনিধিত্ব করে।

ইহুদিবাদী "সমাজতন্ত্র" শ্রেণী সংগ্রামকে প্রত্যাখ্যান করে। শ্রেণী সংগ্রামের বোঝার অর্থ হল একটি উপনিবেশ (আজ ইসরায়েল) এবং বৃহত্তর ইস্রায়েলের জন্য সংগ্রাম, যেখানে শ্রমিকরা এই সংগ্রামের বাহক। কিবুতজনিকদের শ্রেণী সংগ্রামের ধারণার অর্থ হল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে লড়াই। একজন কিবুটজনিক বর্ণনা করেছেন: “আমাদের জন্য, কিবুটজ ইতিমধ্যেই সমাজতন্ত্রের বীজতলা ছিল। অবশ্যই, আমরা শ্রেণী সংগ্রাম বা সর্বহারা আন্তর্জাতিকতার কথা ভাবিনি, যা এখানে বসবাসকারী গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যের কারণে স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিল। আমরা কমই এই শর্তাবলী জানতাম. আমরা যখন সংগ্রামের কথা ভাবতাম, তখন সেটা আরবদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।” শ্রেণী সমস্যা সম্পর্কে, যেখানে শ্রমিকরা একটি জায়নবাদী উপনিবেশের সংগ্রামের বাহক, 1932 সালে "শ্রমিক জায়নবাদ" এর নেতা বেন গুরিয়ন বলেছিলেন: "ইহুদি জনগণ তার জন্মভূমিতে উঠবে না, এবং জমি তৈরি হবে না। সংখ্যাগত এবং গুণগতভাবে শক্তিশালী শ্রমিক শ্রেণী ছাড়া।"

কিবুতজে মজুরি শ্রম এবং একচেটিয়া পুঁজির উপর নির্ভরতা: ফিলিস্তিনে তার ঔপনিবেশিক প্রকল্পের জন্য, আন্তর্জাতিক জায়নবাদ যুদ্ধ এবং সম্প্রসারণের ইহুদিবাদী আদর্শের উপর ভিত্তি করে একটি অর্থনীতির কল্পনা করেছিল। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে, এটি প্রধানত কৃষি বসতিগুলির উপর ভিত্তি করে, একচেটিয়া পুঁজি দ্বারা অর্থায়ন এবং সমর্থিত এবং ইহুদি এজেন্সি এবং হিস্টাড্রুটের নেতৃত্বে ছিল। এই অর্থনীতির উদ্দেশ্য ছিল আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে স্থানচ্যুত করা এবং সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া পুঁজির প্রভাবের বলয়ের সম্প্রসারণ হিসাবে সেটলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

আজ, ইসরায়েলি অর্থনীতি তিনটি প্রতিষ্ঠানের হাতে: সরকার, হিস্টাড্রুট এবং ইহুদি সংস্থা (আন্তর্জাতিক জায়নবাদী একচেটিয়া পুঁজি)। ইসরায়েল এখন কেবল আন্তর্জাতিক একচেটিয়া পুঁজির জন্য একটি প্রকল্প নয় বরং বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থও পরিবেশন করে এবং সাম্রাজ্যবাদের অংশীদার হয়ে উঠেছে - এটি আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার শোষণ ও নিপীড়নে এর ভূমিকা ব্যাখ্যা করে। জায়নবাদী অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হল হিস্টাড্রুট (এরেজ ইসরায়েলের হিব্রু শ্রমিকদের জেনারেল ফেডারেশন, 1920 সালে প্রতিষ্ঠিত)। হিস্টাড্রুট এন্টারপ্রাইজ একটি ট্রেড ইউনিয়ন নয়; বরং, এর আটটি সেক্টরের অধীনে একটি সেক্টর ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। এটি বিভিন্ন কোম্পানির মালিক, যেমন নির্মাণ কোম্পানি সোলেল-বোনেহ, যা আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকায় প্রকল্পগুলি পরিচালনা করে, সেইসাথে এয়ারলাইন এল আল। হিস্তাদৃতের অন্যতম প্রধান প্রকল্প হল কিবুতজিম (পাশাপাশি মোশাভিম); তাদের নিয়োগ করা হয়েছে "হেভরত ওভদিম" (শ্রমিক সমিতি) বিভাগে। ইস্রায়েল প্রতিষ্ঠার আগেও, হিস্টাড্রুট তার উদ্দেশ্যগুলির জন্য পুঁজিবাদী উদ্যোক্তা, ব্যাঙ্কার এবং বীমাকারীদের জিতেছিল।

যেহেতু কিবুতজিম হিস্টাড্রুটের একটি উদ্যোগ, বেশিরভাগ কিবুটজ সদস্যও হিস্টাড্রুটের সদস্য, যা প্রায় 90% জায়নবাদী শ্রমিককে এর সদস্যদের মধ্যে একত্রিত করে।

ইসরায়েলি পুঁজিবাদী অর্থনীতির অংশ হিসেবে, কিবুতজিমও অর্থনৈতিক সংকট দ্বারা প্রভাবিত হয়, বিশেষ করে যেগুলি যুদ্ধের পরে বা সময় ঘটে। অতএব, কিবুটজের সংকট মাঝে মাঝে আলোচিত হয়। প্রাথমিকভাবে একটি "কৃষি কমিউন" হিসাবে শুরু হয়েছিল, তারা ইহুদিবাদী অর্থনীতি এবং বিশেষত শিল্প বিকাশের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়েছিল।

হিস্টাড্রুট এবং কিবুটজ, পুঁজিবাদী উদ্যোগ হিসাবে, ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ছদ্ম-সমাজতান্ত্রিক দলগুলির আর্থিক উত্স এবং মেরুদণ্ড হয়ে ওঠে, বিশেষ করে 1977 সাল পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধের ক্ষেত্রে। ফিলিস্তিনি মজুরি শ্রমিক এবং বিদেশী স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে শ্রম অভিজাততন্ত্র, নিরাপদে ইসরায়েলি আগ্রাসন যুদ্ধ চালাতে বুর্জোয়াদের লাভ। কিবুতজিম সম্পূর্ণরূপে ব্যাংক ও বেসরকারি কোম্পানির উপর নির্ভরশীল। পিনস্কি নোট করেছেন যে সমাজতান্ত্রিক কিবুটজ একজন নিয়োগকর্তা হয়ে উঠেছে, ইস্রায়েলের নতুন প্রতিষ্ঠিত উন্নয়ন শহর থেকে শ্রমিকরা এসেছেন।

জায়োনিস্টদের দ্বারা প্রচারিত মিথ্যা যে কিবুটজ একটি "সমাজতান্ত্রিক কমিউন" মজুরি শ্রমের অস্তিত্বের দ্বারা বাতিল করা হয়েছে। কিবুতজ কখনই পুঁজিবাদী হবে না এমন দাবি করা সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনি মজুরি শ্রমিকদের নিয়োগ এবং নিয়মতান্ত্রিক শোষণ কিবুটজকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য সহ একটি পুঁজিবাদী উদ্যোগ হিসাবে প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার বঞ্চিত সদস্যরা পুঁজিবাদী শোষকদের সমষ্টিতে পরিণত হয়েছে। হিস্তাদ্রুত, কিবুতজিমে উদ্যোক্তা কার্যক্রমের মাধ্যমে, ইস্রায়েলে রাষ্ট্র-একচেটিয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কিবুটজিমের অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডভাইজরি বডির ডিরেক্টর ওয়াই গোল্ডস্মিড জোর দিয়ে বলেছেন যে কিবুটজ হল একটি পুঁজিবাদী উদ্যোগ যার লক্ষ্য বিনিয়োগকৃত মূলধনের সর্বোচ্চ রিটার্ন অর্জন করা।

উপসংহারে, 1897 সালে ইউরোপীয় ইহুদি পুঁজিবাদীদের দ্বারা সূচিত জায়নবাদী আন্দোলন, ইহুদিবাদী সত্তার প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করেছিল, যা সাম্রাজ্যবাদী মতাদর্শ এবং আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদী নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। ইহুদিবাদকে প্রলেতারিয়েত ও অগ্রগতির আন্তর্জাতিক প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পুঁজিবাদী-ঔপনিবেশিক কারণে সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠিত কিবুতজ ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের ভূমি শোষণ করে জায়নবাদী রাজধানীর ঔপনিবেশিক ইউনিট হিসাবে কাজ করে। উপরন্তু, কিবুটজ মজুরি শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলিত এবং পদ্ধতিগত শোষণকারী হিসাবে কাজ করে। কিবুতজ এবং ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামটি ফ্যাসিবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে অবস্থান করছে, যা জনগণের সংগ্রাম এবং ইহুদিবাদী উপনিবেশবাদ থেকে মুক্তির জন্য ইন্তিফাদার প্রতিনিধিত্ব করে। তদুপরি, ইহুদিবাদ এবং এর কিবুতজিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে শান্তি, গণতন্ত্রের লড়াই এবং বিশ্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসাবে তৈরি করা হয়েছে।