🇵🇸 শেষ খেলা - ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আসবে

প্রশ্ন উঠছে: সমস্ত বিভ্রান্তি কি মার্কেলের প্রতিশ্রুতি দ্বারা ন্যায্য হতে পারে যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা হল "জার্মান স্ট্যাটসরাসন" (জাতীয় রাইসন ডি'ট্রে)? আমার উত্তর হল না। একটির জন্য, এই স্ট্যাটস্রসন বলতে ঠিক কী বোঝায় তা কোথাও সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। শব্দটি অর্থের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দোদুল্যমান। অস্পষ্টতা সম্প্রতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন প্রতিশ্রুত স্ট্যাটসরাসন থেকে অস্ত্র সরবরাহ বা এমনকি সামরিক সহায়তার দায়িত্ব নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক ছিল।

এমনকি যদি কেউ ধরে নেয় যে 2008 সালে মার্কেলের প্রতিশ্রুতি ন্যায়সঙ্গত ছিল, তবে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের মুখে এটি আর বহাল রাখা যাবে না। কারণ এমনকি একটি Staatsräson এর স্পষ্ট সীমা রয়েছে। এটি সর্বশেষে শেষ হবে যেখানে আন্তর্জাতিক আইনের নিয়ম এবং মৌলিক আইনে শান্তির জন্য অপরিহার্য (প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ 1(2) জিজি) শুরু হবে। একটি সাংবিধানিক শাসনের রাষ্ট্র হিসাবে, জার্মানি আইনের শক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শক্তিশালী আইন নয়। তদুপরি, একটি আইনের শাসন রাষ্ট্রের কখনই দ্বিগুণ মান প্রয়োগ করা উচিত নয়। এক পক্ষের জন্য যা সঠিক তা অন্যের জন্য ন্যায্য হতে হবে। বিশেষভাবে, এর অর্থ হল যে যারা ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে তাদের রকেট হামলা বন্ধ করার দাবি করে তাদের অবশ্যই একই সাথে ইসরায়েলকে গাজার আবাসিক এলাকা, স্কুল এবং ক্লিনিকগুলিতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিমান হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে হবে।

ইসরায়েলের জন্য আমাদের ঐতিহাসিকভাবে ভিত্তি বিশেষ দায়িত্ব থেকে, বন্ধুত্বের বাধ্যবাধকতা স্বাভাবিকভাবেই উদ্ভূত হয়। যাইহোক, সত্যিকারের বন্ধুত্ব নীরব গ্রহণযোগ্যতা বা অসদাচরণের সমর্থনের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয় না। বন্ধু যখন গুরুতর ভুল করতে চলেছে তখন হস্তক্ষেপ করার সাহসে এটি বরং প্রকাশ পায়। অন্যথায়, একজন আরামদায়ক এবং এইভাবে অবিশ্বস্ত বন্ধু। একজন সত্যিকারের বন্ধুকে অবশ্যই একজন মাতাল মদ্যপানকারী বন্ধুর কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নিতে হবে যদি তারা গাড়িতে উঠে গাড়ি চালাতে চায়। একই রাষ্ট্রের মধ্যে আচরণ প্রযোজ্য.

যদিও জার্মানি ঐতিহ্যগতভাবে ইসরায়েলি অসদাচরণের মুখে নীরব থাকে। জার্মান রাজনীতির প্রতিক্রিয়া প্রায়শই নিপীড়ক একতরফা এবং দৃষ্টিভঙ্গির অভাবের লক্ষণ। সম্প্রতি চ্যান্সেলর স্কোলজের দেওয়া বিবৃতি, "হলোকাস্ট থেকে উদ্ভূত আমাদের দায়িত্ব ইস্রায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এবং নিরাপত্তার পক্ষে ওকালতি করা আমাদের জন্য একটি চিরন্তন কাজ করে তোলে," মার্কেলের স্ট্যাটসরাসন-এর একটি সাধারণ আপডেট। যদিও এটি মহৎ শোনাচ্ছে, এটি বাস্তবে চিন্তাহীন এবং বিষাক্ত। এটি, একভাবে, একটি ফাঁকা চেক যা ইস্রায়েলকে যা চায় তা করার ক্ষমতা দেয়, জার্মানি সহায়তা করতে বাধ্য। এটি করতে গিয়ে চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক আইন এবং মৌলিক আইনকে অনেক পিছনে ফেলে দেন। তদুপরি, তিনি নিজেকে ইস্রায়েলের একটি থাবা বানিয়েছেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকের বিবৃতিটি একইভাবে সরল, "এই দিনে আমরা সবাই ইসরায়েলি।" কূটনীতি এবং একটি ভালভাবে বোঝা বন্ধুত্বের সাথে এই ধরনের শব্দের কোন সম্পর্ক নেই। পরিবর্তে, তারা জার্মানিকে গণহত্যার সহযোগী হিসেবে সন্দেহের মধ্যে ফেলে।

একজন বুদ্ধিমান বন্ধু অন্তত বিবেচনা করবেন যে এই ধরনের পাণ্ডারা সত্যিই ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করে কিনা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের কঠোরতার নীতি তার নিজস্ব জনসংখ্যার জন্য হুমকি হ্রাস করেছে কিনা তা সন্দেহজনক। সাম্প্রতিক সপ্তাহের রক্তের টোল এর বিরুদ্ধে কথা বলে।

জার্মানি ও ইসরায়েলের মধ্যে কি বিশেষ সম্পর্ক আছে?

পরিষ্কার উত্তর, হ্যাঁ। এটি ব্যক্তিগত অপরাধের বিষয়ে নয় বরং একটি ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার। উত্তরাধিকার সময়ের সাথে সাথে ম্লান হয় না। অনেক লোক আজ যুক্তি দেয় যে একটি "অবশেষে লাইন টানা উচিত।" এই বিতর্কটি সহায়ক নয় কারণ ব্যাপক আকারে অপরাধগুলিকে পূর্বাবস্থায় ফেরানো বা "মুছে ফেলা" যায় না৷

ঐতিহাসিক দায়িত্ব থেকে, এটি অনুসরণ করে যে জার্মানিকে তার অস্তিত্বের অধিকার নিয়ে বিরোধে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে হবে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা - যদিও এটি সেই সময়ে বিতর্কিত হতে পারে - একটি বন্ধ ঐতিহাসিক সত্য। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, কয়েক প্রজন্ম এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ইস্রায়েলে জীবন বেছে নিয়ে অস্তিত্বের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিশ্বাস রক্ষা করা আবশ্যক. ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার রয়েছে - দ্ব্যর্থহীনভাবে। 1948 সালে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে এই মর্যাদায় কোনও রোলব্যাক করা যাবে না এবং হওয়া উচিত নয়। অন্যথায় প্রতিশ্রুতি দেওয়া যে কেউ বিভ্রান্তিকর। চিন্তাশীল ফিলিস্তিনিরাও এটি বুঝতে পারে। আজ, আলোচনাগুলি কেবলমাত্র দুটি মানুষ কীভাবে সহাবস্থান করতে পারে সেই প্রশ্নগুলির চারপাশে আবর্তিত হতে পারে, যেমন সীমানা নির্ধারণ, নিষ্পত্তি এবং ক্ষতিপূরণের সমস্যাগুলি এবং রাষ্ট্রের মডেল৷

ফিলিস্তিনের জন্যও কি জার্মানির দায়িত্ব?

আবার, একটি পরিষ্কার হ্যাঁ. জার্মানির পররাষ্ট্র নীতিকে শেষ পর্যন্ত বুঝতে হবে যে জার্মানির ঐতিহাসিক বাধ্যবাধকতা আছে শুধু ইসরায়েলের প্রতি নয়, ফিলিস্তিনিদের প্রতিও, যারা নির্দোষভাবে তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল এবং যারা দেশে থেকে গিয়েছিল।

এক শতাব্দীর শেষ তিন-চতুর্থাংশের ফিলিস্তিনি নাটকের গভীর শিকড় রয়েছে হলোকাস্টের মধ্যে। এটি প্রাথমিকভাবে 1930-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ফিলিস্তিনে ভোটাধিকার বঞ্চিত এবং আঘাতপ্রাপ্ত ইহুদিদের অভিবাসনের তরঙ্গের জন্য দায়ী ছিল। কিন্তু, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, হলোকাস্টের ভয়ঙ্কর চিত্রগুলি ইসরায়েল রাষ্ট্রের তাড়াহুড়ো করে প্রতিষ্ঠার সুবিধা দিয়েছে। যাযাবর, জমির মালিক, কারিগর, ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক সহ আদিবাসী ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার খরচে এই সবই এসেছে। সরলীকৃতভাবে বলা যায়, এই আদিবাসীরাই আমাদের শিকারের শিকার। অথবা যেমন আলফ্রেড গ্রোসার এটি প্রকাশ করেছেন: "ফিলিস্তিনিরা হলোকাস্টের শেষ শিকার।"

হলোকাস্ট, গণপ্রস্থান, এবং অভিবাসন জার্মানির জন্য দায়ী। এটি ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যের জন্য একটি বিশেষ দায়িত্ব বোঝায় - নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং আইনগতভাবে।

এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ ধরে ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছে। ধারণা শুধু কাগজে কলমে রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত, ইসরাইল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে নস্যাৎ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ দৃষ্টিতে - ইহুদিদের দুঃখজনক ইতিহাস এবং তার সামরিক শক্তি দ্বারা সমর্থিত - ইসরায়েল তার ভূখণ্ড প্রসারিত করেছে এবং পশ্চিম তীরে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অসংখ্য বসতি নির্মাণ করেছে।

"মূল্যবোধ-ভিত্তিক পশ্চিম", যা প্রতিপক্ষের অসদাচরণের মুখে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারকে জোরালোভাবে আহ্বান করে, কয়েক দশক ধরে নিষ্ক্রিয়ভাবে দেখছে। এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি একটি শূন্য বাক্যে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, এটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীতিতে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, জার্মানির।

মধ্যবর্তী উপসংহার: ইহুদি জনগণের প্রতি জার্মানরা যে বিশাল অপরাধবোধ করেছে তা অবশ্যই ক্ষতিপূরণের অর্থে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরায়েলের অন্যায় নীতিকে সমর্থন করতে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি অন্ধ দৃষ্টিপাত করতে জার্মানিকে পরিচালিত করবে না। এই ধরনের অবস্থান অতীতের অন্যায়কে হ্রাস বা নিরাময় করবে না বরং একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক বোঝা যোগ করবে।

এন্ডগেম: চলমান রক্তপাত 7 অক্টোবর, 2023-এ হামাস সন্ত্রাসী অ্যাক্টের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। তাই, এটিকে আগে শেষ করতে হবে। ২৬শে জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইজিএইচ) আশা ক্রমশ বাড়ছে। তবে, আইজিএইচ থেকে চূড়ান্ত রায় আসতে সময় লাগতে পারে।

এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির চূড়ান্ত লক্ষ্য অধরা রয়ে গেছে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে ফাটল 2023 সালের অক্টোবরে শুরু হয়নি, বা 1967 এবং 1973 সালের বড় যুদ্ধের সাথেও হয়নি। সমাধানের সন্ধানে অবশ্যই 1948 সালে "ইসরায়েলের স্বাধীনতা যুদ্ধ" পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে, যাকে আরবরা "আল- নাকবা," বিপর্যয়।

হলোকাস্টের পরে, ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে দুটি রাষ্ট্র, একটি ইহুদি এবং একটি আরবের মডেলের মাধ্যমে বিশ্ব চাপা ইহুদি প্রশ্নের সমাধানের কল্পনা করেছিল। রোমানরা 2000 বছর আগে এই প্রদেশের নাম প্যালেস্টাইন করেছিল। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ 1947 সালে একটি বিভাজন পরিকল্পনা গ্রহণ করে (জাতিসংঘের রেজোলিউশন 181)। এর ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও, একটি "টু-স্টেট সলিউশন" ধারণাটি 75 বছর পরেও কার্যকর রয়েছে। বিকল্প, একটি "এক-রাষ্ট্র সমাধান", ইহুদি এবং ফিলিস্তিনিদের ভিন্ন আখ্যান এবং পরিচয়ের কারণে সবসময় অক্ষম ছিল।

1947 সাল থেকে বিশ্ব স্থির থাকেনি। তাই, উভয় জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করতে এবং সহিংসতার সর্পিল থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে স্থায়ীভাবে বের করে আনার জন্য একটি ব্যাপক ধারণা আজও চাওয়া হচ্ছে। এর জন্য বিবাদমান উভয় পক্ষের নতুন চিন্তার প্রয়োজন।

ইসরায়েলকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে একটি শান্তি সমাধান ছাড়াই তারা সন্ত্রাসী হামলার ক্রমাগত হুমকির মধ্যে বসবাস করতে থাকবে। এটি আজ বিশেষভাবে সত্য, 7 অক্টোবরে প্রকাশিত দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে। ইসরায়েলের জন্য আরেকটি সামরিক বিজয় ফিলিস্তিনিদের গভীর-উপস্থিত তিক্ততা নিরাময় করবে না বরং আরও বাড়িয়ে দেবে। এলাকা এগোবে না। যদিও অস্ত্র ধ্বংস করা যায় এবং হামাসের মতো সংগঠনগুলি ভেঙে দেওয়া যায়, কিন্তু পরাজিতদের মনের অন্ধকার চিন্তা মুছে ফেলা যায় না। সুতরাং, একটি পারস্পরিকভাবে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অত্যাবশ্যক স্বার্থে। এটা দুঃখজনক যে ইসরায়েলি জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এখনও এই উপলব্ধি করতে পারেনি।

বিপরীতভাবে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে 1948-এর আগের অবস্থায় ফিরে আসা অবাস্তব। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। উপরন্তু, পশ্চিম তীর থেকে আনুমানিক 500,000 বসতি স্থাপনকারীদের একটি সহিংস স্থানান্তর কার্যত অসম্ভব। 9,000 সালে গাজা থেকে "শুধুমাত্র" 2005 ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর স্থানান্তরের সময় চ্যালেঞ্জগুলি ("শ্যারন পরিকল্পনা") একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

পরিবর্তিত বিভাগ পরিকল্পনা 2024

একটি সমাধানের মূল হতে পারে বর্তমানের প্রয়োজনীয়তার সাথে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের স্থাপত্যকে খাপ খাইয়ে নেওয়া। এই ধরনের ধারণা - ঘটনাক্রমে - বহু বছর আগে PLO দ্বারা সমর্থন করা হয়েছিল, কিন্তু এটি প্রাথমিকভাবে বসতি স্থাপনকারীদের প্রতিরোধের কারণে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে 2024 সালের পরিস্থিতি ভিন্ন। এটি থেকে, নিম্নলিখিত মৌলিক মডেল আবির্ভূত হয়:

পর্যায় 1: অধিকৃত অঞ্চলে বসতি স্থাপনকারীদের প্যালেস্টাইনে থাকার বিকল্প দেওয়া হয় এই শর্তে যে তারা ফিলিস্তিনের নতুন রাষ্ট্রের কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় – সমস্ত অধিকার এবং দায়িত্ব সহ।

পর্যায় 2: যারা এই শর্ত মানতে নারাজ তাদের অবশ্যই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে স্থানান্তর করতে হবে।

এই জাতীয় সমাধানের সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে, অন্যদের মধ্যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ, স্পষ্ট সীমানা, উভয় রাষ্ট্রের সকল মানুষের জন্য পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার, একটি বন্দী বিনিময়, সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি, ত্যাগ। অভ্যন্তরীণ সামরিক সহিংসতা, বসতি স্থাপনকারীদের নিরস্ত্রীকরণ, গাজার পুনর্গঠন, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি।

এই লক্ষ্য অর্জন সহজ নয়; এর জন্য বাস্তববাদ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রয়োজন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা হবে এবং তাদের অবশ্যই ইসরায়েলের প্রতি তাদের দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে। শুধুমাত্র সতর্কীকরণ শব্দই যথেষ্ট হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই একটি গুরুতর শান্তিপ্রবণকারী হিসেবে কাজ করতে হবে। এর অর্থ হতে পারে ইসরায়েলের জন্য সামরিক ও আর্থিক সহায়তা শর্তের উপর নির্ভর করে, এইভাবে চাপ প্রয়োগ করা। স্বাভাবিকভাবেই, ইসরায়েলকে জার্মানির সাহায্যের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একাধিকবার জোর দিয়েছেন যে ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে। তিনি এটা বিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন কীভাবে বিকশিত হয় তা গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইসরায়েলের অবরোধ নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব বিশ্বের ধৈর্য্যের যে বাঁধন ফুরিয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট। উল্লেখিত দেশগুলো এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য জোর দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা বাড়ছে, বিশেষ করে স্থানীয় সংঘাতের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে বিশ্বব্যাপী পরমাণু যুদ্ধে পরিণত করার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে। সবাইকে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

এটা দুঃখজনক যে উল্লিখিত কিছু রাষ্ট্র তাদের অতীতের পক্ষপাতিত্বের কারণে প্রাথমিকভাবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেদের অযোগ্য ঘোষণা করেছে; তাদের প্রথমে আস্থা ফিরে পেতে হবে। তাই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্যোগে আসা উচিত।

উপসংহারে ব্যক্তিগত চিন্তা

আমি একাধিক দৃষ্টান্ত অনুভব করেছি যেখানে রাজনৈতিক স্বপ্ন সত্যি হতে পারে - এবং প্রায়শই সাহসী আশাবাদীরা কল্পনা করতে পারে তার চেয়ে দ্রুত। আমি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন বয়স্ক যোদ্ধাকে স্মরণ করি, বিয়ারে সামান্য নেশাগ্রস্ত এবং স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত, বিড়বিড় করছিল, "জেডার শুস অ্যা রুস', জেডার স্টোস অ্যা ফ্রাঞ্জোস'" (রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রতিটি গুলি, ফরাসিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি খোঁচা)। 80 বছর পরে এই লাইনগুলি লেখা শিশুর জন্য, এটি খুব কমই বোধগম্য ছিল। বেশ কয়েক বছর পর, চার্লস ডি গল এবং চ্যান্সেলর কনরাড অ্যাডেনাউয়ার নামে একজন ফরাসি জেনারেল আমার শৈশব জগতে প্রবেশ করেন এবং রাতারাতি, "প্রাচীন শত্রু ফ্রান্স" জার্মানির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠে। বহু দশক পরে, মিখাইল গর্বাচেভ নামে একজন ক্যারিশম্যাটিক রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি জার্মানি সফর করেছিলেন, এবং জার্মান নারী ও পুরুষদের হৃদয় তাকে উষ্ণভাবে আলিঙ্গন করেছিল। কয়েক সপ্তাহ এবং একটি জনপ্রিয় অভ্যুত্থান পরে, জার্মানি পুনরায় একত্রিত হয় এবং রাশিয়ান সৈন্যরা জার্মানির পূর্ব থেকে প্রফুল্ল মার্চিং মিউজিকের জন্য চলে যায়।

দুই পর্ব। অলৌকিক ঘটনা? না, প্রাণবন্ত জীবন!

কেন ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডানের মধ্যবর্তী ভূমিতে অনুরূপ কিছু সম্ভব হবে না? এই দৃশ্যের মূল খেলোয়াড় চার্লস, কনরাড বা মিখাইল নয়, বরং আদনান, হাসান, রুবেন বা মোশে হতে পারে।

দিন আসবে। কারণ, গভীরভাবে দেখা হলে, ভবিষ্যতের জন্য কোনো কার্যকর বিকল্প নেই।